নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: খানাকুল :: মঙ্গলবার ১৬,জুলাই :: পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মারধর, তৃনমুল এর উভয় পক্ষের জমায়েত পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের বাইরে। জমায়েত হঠাতে লাঠি উচিয়ে পুলিশের তাড়া সহ কোনো কিছুই বাদ গেল না এদিন।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? এলাকাসুত্রে খবর,খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডগঠন তৃনমুল করার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সাথে খানাকুল ১ ব্লক তৃনমুল সভাপতি দিপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এইসময় দিপেন অনুগামী বেশ কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পরিস্থিতিকে ঘিরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি টিকিয়ে রেখে পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের একাধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া নইমুল হক ওরফে রাঙা। বিষয়টিকে কেন্দ্রকরে এদিন খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতি র মিটিং হলে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হয়। এদিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিশাল পুলিশ ও র্যাফের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে। বার বার উত্তেজনা সামাল দিতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয় পুলিশকে।