পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষর মধ্যে “কাজিয়া”

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: বৃহস্পতিবার ১৪,মার্চ :: গত দশে মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের ৪২ জন লোকসভা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রত্যেক প্রার্থী নিজ নিজ এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন। কিন্তু তারই মাঝে মালদা রতুয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে চলছে ঠান্ডা লড়াই। ব্লকের জয়েন্ট বিডিওর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরউদ্দিনের করা অভিযোগের বিরুদ্ধে ধরনায় বসে ছিলেন ব্লকের কর্মচারীবৃন্দ।

তাদের দাবি ছিল জয়েন্ট বিডিওর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ব্লকের কর্মচারীদের সাথে তালে তাল মিলিয়ে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষিয়ান নেতা মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন। তিনি সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। যদিও সমস্ত মন্তব্যকেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন সভাপতি আমিরউদ্দিন।

পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মোঃ মইনুদ্দিন বলেন, সভাপতি আমাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করেই জয়েন্ট বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তিনি এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা না। বীরভূমের বাড়ি হলেও থাকেন ডানলপে।

শুনেছি সেখানে উনার নামে জালিয়াতির মামলা রয়েছে। পীরগঞ্জ অঞ্চলে পঞ্চায়েত সমিতির থেকে ভোটে লড়েছেন তিনি, কিন্তু ভোটে লড়ার সময়ে পীরগঞ্জ অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে তিনি কোন প্রমাণপত্র দিতে পারেননি। কন্ট্রাক্টার এসোসিয়েট টেন্ডার অ্যাসোসিয়েশন এমনকি জয়েন্ট বিডিও এর বিরুদ্ধেও হাইকোর্ট কেস করেছেন। আমার আমার মনে হয় ওনার কেস মামলা খুব পছন্দ। আমরা চাই সুষ্ঠুভাবে ব্লকের সমস্ত কাজ পরিচালিত হোক।

অন্যদিকে সভাপতি আমির উদ্দিন পাল্টা মন্তব্য করেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি জানান, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুদ্দিন ঠিকমতো পড়াশোনা না করে আমার বিরুদ্ধে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেছেন। আমি চাইলে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + six =