পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব – মিটিং এই শুরু হাতাহাতি – নতুন সিএম মানিক বাবু

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ ::  কোলকাতা ::  হঠাৎ করেই পদত্যাগ করলেন ত্রিপুরার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এক লাইনের চিঠি লিখে পাঠিয়ে পদত্যাগের কথা জানান তিনি রাজ্যপালকে। বিপ্লব কেন এমনভাবে পদ ছেড়ে দিলেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ত্রিপুরার রাজনীতিতেও নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে।ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়লেন তিনি। আগামী বছরেই ওই রাজ্যে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে।পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মানিক সাহা |

ইস্তফার পর বিপ্লব দেব জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মার্গদর্শন অনুযায়ী এত দিন কাজ করে চলেছেন। তবে এবার দল তাকে সংগঠনের কাজে লাগাতে চায়। ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দল চাইছে ২০২৩ নির্বাচনের আগে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে।

দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার জন্য সংগঠনের শক্তি বাড়ানোর দরকার। সংগঠন থাকলে তবেই সরকার থাকবে। তাই দল আমাকে সংগঠনে কাজে লাগাতে চাইছে।’

বিপ্লবের কথায় এদিন কোথাও যেন আক্ষেপের সুর শোনা গেল। তিনি বললেন, ‘এত দিন প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে আমি কাজ করে এসেছি। এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ইচ্ছাতেই সংগঠনের কাজ করব।’

২০২৩ সালেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগে আগে বিপ্লবের ইস্তফা বিজেপির ভাবমূর্তিকে কিছুটা হলেও ধাক্কা দিলো। অনেকেই মনে করছেন বিপ্লবের ইস্তফার নেপথ্যে রয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিশ্লেষকদের মতে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ জমা হচ্ছিল, তাতে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরাগভাজন হচ্ছিলেন।

তাছাড়া, প্রশাসনের বিভিন্ন প্যারামিটারেও বিপ্লবের ত্রিপুরা সরকার ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিল। মাত্র চার বছরেই ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল। সম্ভবত ওই কারণেই বিধানসভা ভোটের আগে মুখ বদল করল গেরুয়া শিবির।

এই জল্পনা যে কতটা সত্য তা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ডাকে কোর্ কমিটির বৈঠকের ভেতরেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হওয়া মাত্রই এক রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী ও তার অনুগামীরা সাংসদ ও অন্য গোষ্ঠির মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রকাশ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন |

পরে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী নিবাসের পিছনের দারওয়াজা দিয়ে বার করে আনা হয় | অনেক আগেই সাংবাদিকদের ওখান থেকে নিরাপত্তা রক্ষীদের দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় |যাতে কোনো সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা না যায় |

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *