নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বুধবার ১৫,অক্টোবর :: এস আই আর প্রসঙ্গে পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণভাবে করায়ত্ব করে রেখেছে। আপনারা হয়তো জানেন না নির্বাচন কমিশনের কমিটিতে কারা থাকবে।
সেটা আগে ছিল প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দল নেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কিন্তু বিজেপি সরকার দু-তিন বছর আগে সেই নিয়মটা পরিবর্তন করলেন। সেই জায়গায় প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা এবং তার মনোনীত একজন মন্ত্রী থাকবে এইটা নিয়ে তিনজনের কমিটি রয়েছে।
অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন কে নিজের পকেটে নেবার ব্যবস্থা করে নিয়েছে বিজেপি, এখন যে নির্বাচন কমিশন রয়েছে তার মাধ্যমে এই এস আই আর বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে করতে চাইছে কখন যখন ভোট।
খুব খেয়াল করে দেখুন ২০০০ সালে তখনও কিন্তু বিজেপি সরকার ছিল। ২০০২ সালে যে এসআই আর হয়েছিল তার প্রস্তুতি ছিল 2000 সাল থেকে। ২০০২ তে এস আইআর হয়েছিল তার দু’বছর পর ভোট হয়েছিল,একটা বড় সময় পেয়েছিল ভোটাররা তারা যাতে তাদের উপযুক্ত নথি জমা করে তাদের নামটা নিশ্চিত করতে পারেন। কিন্তু এরা দু তিন মাসের প্রস্তুতিতে যে এস আই আর করছে তাতে আমরা আশঙ্কা করছি যে
লক্ষ লক্ষ প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ হয়ে যাবে। প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ হয়ে যাবে ঠিক এই কারণেই আমরা এস আই আর এর বিরোধিতা করছি এছাড়া আর অন্য কোন কারণ নেই।
যে অল্প সময়ের মধ্যে এত বড় কাজ করা যায় না, এবং এই ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই উরাবো এবং এই ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ওরা বোধ হয় খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে। দেখবেন লক্ষ লক্ষ মানুষের নাম্বার যারা এখানকার প্রকৃত ভোটার তাদের নামও বাদ যাবে।
তার কয়েক মাসের মধ্যেই ভোট আছে, এবং প্রকৃতপক্ষে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের যে প্রতিফলন ঘটে তা করবে না কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষের হয়তো ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে আমাদের বিরোধিতা ঠিক ওখানেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক সেই কথাই বলছেন যে প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দিয়ে যে এস আই আর আমরা কখনোই মানবো না, তাই সেটা নিয়ে লড়াই হবে আন্দোলন হবে।