দেবেন মাহাতো :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: প্রায় দীর্ঘ পাঁচ বছর পর পরিজনের সন্ধান পেলেন বছর পঁষট্টির বৃদ্ধা। সূদুর বিহার থেকে মায়ের সাথে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে কন্নায় ভেঙে পড়লেন।ফিরে পেলেন নিজের আসল নামও।গত কয়েক মাস ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা ভর্তি ছিলেন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে।ঝাড়গ্রাম পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক মাস আগে ইতস্তত ঘোরাঘুরি করতে দেখে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করায়।
সেই সময় ওই মহিলা নিজের নাম পরিচয় কিছুই বলতে পারেনি।হাসপাতালে থাকাকালিন তার নাম রাখা হয়েছিল মায়া দেবী।বিভিন্ন সূত্র মারফত হ্যাম রেডিও ওয়েস্টবেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারে।তার ছবি তোলেন। ওই রেডিও ক্লাবের পক্ষ থেকে ওই মহিলার সম্পর্কে খবরাখবর নেওয়া হয়।তারা জানতে পারেন ওই মহিলার বাড়ি উত্তর প্রদেশে।
তার স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।হ্যামের পক্ষ থেকে উত্তর প্রদেশে ওই মহিলার বোন এবং বিহারের পূর্নিয়ায় ভাই এবং মায়ের সাথে যোগা যোগ করা হয় এবং ছবি পাঠানো হয়।তারা ছবি দেখে ওই মহিলাকে চিনতে পারে।জানা যায় তার আসল নাম টেকা।
হ্যাম রেডিওর পক্ষ থেকে টেকা তথা ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি থাকা ওই মহিলার সাথে তার মা চঞ্চলা, ভাই,বোনদের কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়।ভিডিও কলের মাধ্যমে তাদের সাথে কথা হয়।উভয়ই চিনতে পারেন।কন্নায় ভেঙে পড়েন টেকা।জানতে পারেন নিজের নাম।এবার ওই মহিলাকে কিভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যায় তার প্রক্রিয়া গ্রহন করবে পুলিশ প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে ।
ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক জয়সী দাশগুপ্ত বলেন “ওখানের স্থানীয় প্রশাসন সনাক্ত করার পর ওই পরিবার আদৌ ওই মহিলাকে তাদের সাথে রাখতে চান কিনা বা রাখতে পারবেন কিনা এই বিষয় গুলি খতিয়ে দেখার পরই হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্ভব হবে