আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা ব্যুরো নিউজ :: রবিবার ১০,মে :: ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রি সাংবাদিক বৈঠকে জানান, শনিবার বিকেল ৫টা থেকে আকাশ, জল এবং স্থলপথে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। আর এরপরই সন্ত্রাসবাদের মদতদাতাদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরই জয়শংকর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান আজ গুলিবর্ষণ এবং সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করার বিষয়ে একটি বোঝাপড়ায় এসেছে।’ এরপরই তিনি লেখেন, ‘ভারত সর্বদা সবধরণের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছে। এটি অব্যাহত থাকবে।’
শনিবার কার্যত ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে নয়াদিল্লি। আসলে গত কয়েকদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে লাগাতার পিছিয়ে পড়ছিল পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই সন্ধিপ্রস্তাব করে শাহবাজ শরিফ সরকার। আমেরিকার মধ্যস্ততায় সেই প্রস্তাবে রাজি হয় ভারত।
সমাজমাধ্যমে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর। তিনি লিখেছেন, “আজ ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্রবিরতি এবং সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছে।” এরপরই তিনি যোগ করেন, “ভারত ধারাবাহিকভাবে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় এবং আপোষহীন অবস্থান বজায় রেখেছে।
ভবিষ্যতেও তার অন্যথা হবে না।” উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতির বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আনেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিকেল ৫টা ৪২ নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “গোটা রাত দীর্ঘ আলোচনার পর দুই দেশই এই মুহূর্ত থেকে সম্পূর্ণরূপে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। সঠিক সময়ে বাস্তবজ্ঞান কাজে লাগানোয় দুপক্ষকে শুভেচ্ছা।”
এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশসচিব বিক্রম মিসরি বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধন এদিন দুপুর ৩টে ৩৫ নাগাদ ভারতের সেনাপ্রধানকে ফোন করেন।
ভারতের সুদর্শন চক্র এস – ৪০০
দুই পক্ষ একমত হয় যে ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে উভয়পক্ষ স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে যাবতীয় সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করা হবে। এই সমঝোতা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সামরিক মহাপরিচালকরা ১২ মে আবার কথা বলবেন।”