সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: পাথরপ্রতিমা :: জলে কুমির ডাঙায় বাঘ”এটা সুন্দরবনের মানুষদের রোজনামচা। সুন্দরবন বলতেই মনে পড়ে যায় ঘন জঙ্গল আর দক্ষিণরায়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত দ্বীপ গুলিতে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো জলপথ।রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করতে না করতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন নৌকার ঘাট গুলি জরাজীর্ণ ও কঙ্কালসার চেহারা।
রক্ষণাবেক্ষণ এর অভাবে ভেঙে পড়েছে বহু নৌকার ঘাট। কার্যত জীবনবাজি রেখে নদী পারাপার হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। ৫ টি দ্বীপ সমূহ নিয়ে গঠিত হয়েছে পাথরপ্রতিমা বিধানসভা।
পাথরপ্রতিমার প্রত্যন্ত দ্বীপ গুলিতে পৌঁছাতে হলে এখনো গ্রামবাসীদের ভরসা সেই জলপথ। পাথরপ্রতিমা বিধানসভার মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে মৃদঙ্গ ভাঙা, জগদ্দল, কার্জন ক্রিক ও রামগঙ্গা ঠাকুরাইন মতন নদী।
পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন নদী ও নদীর চরে ওত পেতে থাকে কুমির। জীবন বাজি রেখে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হয় নিত্যযাত্রীদের। বর্ষাকালে আরো করুণ দশা হয়ে যায় নিত্যযাত্রীদের। নদীর নৌকাঘাট গুলি বেহাল থাকার জন্য সমস্যায় পড়ে রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।পাথরপ্রতিমা রাখালপুর আর্ডির বাজার খেয়া ঘাটের বেহাল দশা একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়েছে সম্পূর্ণ নৌকা ঘাট। বিকল্প কোন নৌকাঘাট না থাকায় সমস্যায় পড়েছে গ্রামবাসীরা।
শুধু আর্ডির বাজার নয় রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ভেঙে পরেছে হরিজীর খেয়া ঘাট, যশোদার খেয়া ঘাট, কুমারপুর ঘাট ও গদামথুরা ঘাট।
প্রতিদিন নিত্য প্রয়োজনীয় দরকারে কয়েক হাজার মানুষ নদী পেরিয়ে নিজেদের গন্তব্যস্থলে যায়। কিন্তু এই নদীর ঘাট গুলি বেহাল দশা। কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে হয়। স্থায়ী কংক্রিটের ঘাটের আমরা আবেদন জানাই।
সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করে পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা বলেন, পাথরপ্রতিমা নদীবেষ্টিত দ্বীপ এলাকা ।
প্রতিদিন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে হলে সাধারণ মানুষের ভরসা ফেরি সার্ভিস। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে নদীর ঘাট গুলো আমরা তৈরি করেছি। কিন্তু একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ভেঙে গিয়েছে সেই ঘাট গুলি। অনেক অনেক জায়গায় নদীতে নাব্যতা কমে গিয়েছে।
এলাকাবাসীরা সমস্যার কথা আমাদের জানিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে ঘাটগুলো সংস্কার করা হবে। তবে দেখার বিষয় এই যে, আদৌ কি সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা মানুষের সমস্যার সমাধান হবে সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।