নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাংলাদেশ ডেস্ক :: সোমবার ২৯,সেপ্টেম্বর :: পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ের হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানি ও আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় হঠাৎ করে অস্থিরতা বেড়ে যাওয়ায় সরকারের উচ্চপর্যায়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে আরও বিতর্ক জন্ম নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেন, “ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পরিকল্পিতভাবে নিশানায় পরিণত হয়েছেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্তি নিছক স্থানীয় সমস্যা নয়, এর পেছনে আন্তর্জাতিক চক্র সক্রিয় রয়েছে। তাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের ভেতরে স্থিতিশীলতা নষ্ট করা এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে দুর্বল করা।
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অনেকের ভালো লাগছে না। ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীর মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে। সেনা, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই ঘটনায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংঘর্ষে সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্য কেবল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই নয়, আঞ্চলিক কূটনীতিতেও আলোড়ন তুলতে পারে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক সবসময়ই দুই দেশের জন্য সংবেদনশীল বিষয়। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্তিকে ঘিরে বিদেশি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিতে পারে।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, যদি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, তবে দুর্গাপুজোর মতো উৎসবমুখর সময়ে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে যেতে পারে।