কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: শনিবার ৯মার্চ :: পুরনো সামগ্রী থেকে ঐতিহ্য সংগ্রহ করা নেশা তাঁর। কারণ গ্রাম বাংলার বহু ব্যবহার্য সামগ্রী ধীরে ধীরে আধুনিকতার দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন কমে আসায় মানুষ সেগুলির ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছে। তাই বাংলার বহু সামগ্রী এখন বিপুপ্তির পথে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম একটি সুপারি কাটার যাঁতি।
এক সময় গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে দেখা মিলত এই যাঁতি। পান খাওয়ার আগে সুপারি কাটা হত এই যাঁতিতে। কিন্তু এখন আধুনিক সমাজে বাড়িতে পানের বাটা রেখে পান খাওয়ার রেওয়াজ উঠে গিয়েছে। এমনকি অনুষ্ঠান বাড়িতে পান খাইয়ে অপ্যায়নের রেওয়াজ বাঙালি ভুলতে বসেছে। এমনকি দুপুরে খাবার পর পানের বাটা বার করে পান সাজার দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়েনা কোন বাড়িতে।
কিন্তু একটা সময় ছিল দুপুরের খাবার খেয়ে প্রায় প্রত্যকেই পান চিবতেন। এমনকি কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে পান ছিল অতিথি আপ্যায়নের প্রধান আকর্ষণ। আজ হারিয়ে যেতে বসা সুপারী কাটার যাঁতি সংরক্ষণ করছেন মালদহের সুবীর কুমার সাহা। মালদহ শহরের গ্রীণপার্ক এলাকায় বাড়ি।তিনি পেশায় একজন গ্রন্থাগারিক। তবে তাঁর নেশা পুরনো সামগ্রী সংরক্ষণ করা।
বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে নজরকাড়া ভাবে তাঁর সংগ্রহশালায় মজুত করছেন সুপারি কাটার যাঁতি। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নয়, দেশের একাধিক রাজ্য থেকে পুরনো সুপারি কাটার যাঁতি সংরক্ষণ করে চলেছেন। দেব দেবী মূর্তি আকৃতি থেকে ঘোড়া, মাছ সহ বিভিন্ন ডিজাইনের ও বিভিন্ন ধাতু দিয়ে তৈরি যাঁতি তিনি সংগ্রহ করেছেন। বর্তমানে তাঁর কাছে ৫০ রকমের সুপারি কাটার যাঁতি আছে। সব গুলোই পুরনো। এমনকি একশো বছরের পুরনো যাঁতি রয়েছে তাঁর সংগ্রহে।