পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে এখনও ‘খাটিয়া’র ব্যাপক চাহিদা

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: পুরুলিয়া :: বুধবার৪,জুন :: খাটিয়ার সঙ্গে গ্রামবাংলার লোকজীবনের বিশেষ সম্পর্ক আছে। খাটিয়াকে গ্রামবাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য বলা যায়। এখনও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই খাটিয়া দেখতে পাওয়া যায়। অতীতে তো বটেই, এখনও গ্রামে গঞ্জে খাট পেতে অভ্যর্থনা করা হয় অতিথিকে।

গরমের দিনে খাটিয়া বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এর মধ্যে দিয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন বিক্রেতারা। শুধু গ্রামেই নয় খুব সহজেই খাটিয়াকে সরানো যায় বলে শহরাঞ্চলেও খাটিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

এই বিষয়ে বিক্রেতারা বলেন , রুজি-রুটির তাগিদে সারা বিভিন্ন জায়গা যেতে হয় তাদের। এই সমস্ত খাটিয়ার ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দামে বিক্রি হয়। তাদের বিক্রি মোটামুটি ভালো রয়েছে।

শুধুমাত্র গরমকালেই নয়, সারা বছরই খাটের প্রয়োজন হয়। এর ওজন কম। তাই গ্রামের পুকুরপাড়ে, গাছতলায়, বাড়ির বারান্দা যে কোনো জায়গাতেই খুব সহজে খাটিয়া নিয়ে চলে যাওয়া যায়।

পুরুলিয়ার বিভিন্ন জায়গা যেমন বলরামপুর, বরাবাজার, মানবাজার সহ বিভিন্ন আরও কিছু জায়গাতে এই খাটিয়ার ব্যাপক হারে চাহিদা রয়েছে।

তাই দূর দূরান্ত থেকে বিক্রেতারাও এখানে ছুটে আসেন। শুধু বাড়িতেই ব্যবহার নয়, এখন বাণিজ্যিকভাবেও খাটিয়াকে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধাবা এবং রেস্তোরাঁতেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এই খাটিয়া ব্যবহৃত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 4 =