সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: রবিবার ২০,অক্টোবর :: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোয়ারের জলে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। নদী বাঁধ ভেঙে জোয়ারের জলে নষ্ট জমির ফসল দুশ্চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের। পূর্ণিমার ভরা কোটালের জোয়ারের জলে তোড়ে গঙ্গাসাগরের চক ফুলডুবি এলাকায় মাটির নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা।
গঙ্গাসাগরের চক ফুলডুবি এলাকায় দুর্বল নদী বাঁধ থাকার কারণে পূর্ণিমার ভরা ঘটালে দুয়ারে জলের তরে সেই নদী বাঁধ ভেঙে যায় এরপর নদী বাঁধ ভেঙে এলাকায় ঢুকতে শুরু করে নদীর নোনা জল। নদীর নোনা জলের কারণে নষ্ট পানের বরজ ও চাষের জমি। আলোর উৎসবের আগে মাথায় হাত পড়েছে সাগরের চকফুলডুবি এলাকার কৃষকদের।
আনুমানিক ৫০ থেকে ৬০ বিঘা চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীর নোনা জলের কারণে। নদীর নোনা জলের প্রভাবে মাছ চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছায় সাগর ব্লক প্রশাসনের সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা এছাড়াও ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল সমীর শাহ এবং পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ মন্ডল। এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে দেওয়া হয়।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী তথা সাগর বিধানসভার বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা আরুনভ দাস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে নদী পরিদর্শন করতে গিয়ে এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা তিনি সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি জানান,
সাগরের চক ফুলডুবি এলাকার মানুষ প্রস্তুত রয়েছে মন্ত্রী মশাইকে স্বাগত জানানোর জন্য। মন্ত্রী মশাই নদী বাঁধ মেরামতি করতে ব্যর্থ এবার যদি মন্ত্রীমশাই চক ফুলডুবি এলাকায় নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে যান তাহলে এলাকার মানুষ অপদার্থ মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাবে।