নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: প্রথমে ক্যাঙ্গারু এর পরে নীল গাই এবং তার পরে এবারে জলপাইগুড়ি থেকে উদ্বার হল এক বিরল প্রজাতির কচ্ছপ।আজ সকালে জলপাইগুড়ির মোহন্তপাড়া থেকে বন দপ্তরের কর্মীরা উদ্বার করে ওই বিরল প্রজাতির কচ্ছপকে।তাদের অনুমান চোরা কারবারীরাই এই কচ্ছপ কে রেখে চলে গিয়েছে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে।কচ্ছপটি কোথা থেকে এসেছে কিভাবে কার দ্বারা এখানে আসল তা খতিয়ে দেখছে বনকর্মীরা।তবে কচ্ছপটি ভারতের কোন রাজ্য থেকে আসেনি বলে দাবী বনকর্মীদের।
এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপ খুব সম্ভবত আফ্রিকার কোন জায়গা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে বলে দাবী করছেন বন দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডাঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার একটি নীলগাই। ঘটনা সুত্রে জানা গেছে রবিবার কালিয়াগঞ্জ থানার ওসি পঙ্কজ সাহার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী নীলগাইকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরেই ওই গ্রামে একটি নীলগাইকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি থানায় জানায়। এরপর রবিবার নীলগাইটিকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং বনদপ্তর এর হাতে তুলে দেয়।
প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কোনো ভাবে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে গ্রামে ঢুকে পরে নীলগাইটি।প্রথমে ক্যাঙ্গারু এবং এখন নীলগাই খুব তাড়াতাড়ি এই দুই পশুর ধরা পড়ার কারনে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই।
বনদপ্তরের একটাই চিন্তা করছেন স্থানীয় মানুষেরা,এতটা চোরাকারবার বৃদ্বি পেল কিভাবে। বনদপ্তরের কর্মীরা উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণী চোরাচালানের এই কলেবর বৃদ্ধিতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ।
উত্তরবঙ্গের এই পশুপাচার গত ছমাসে বৃদ্বি পেয়েছে আনেকটাই।তাই কারা কারা এই চোরা কারবারের সাথে যুক্ত সেটাও তদন্ত করে দেখছে বনবিভাগ।