নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শুক্রবার ৫,সেপ্টেম্বর :: বর্তমান সমাজে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বছরের পর বছর ধরে মানুষ নাজেহাল প্রোমোটারদের দৌড়াতে। তেমনি একটি নিদর্শন ফুটে উঠলো হাওড়া লিলুয়ার আনন্দনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন ভট্ট নগরে।
ভট্টনগর অ্যাথলেটিক ক্লাব লাগোয়া জহর অ্যাপার্মেন্ট এর জমির মালিকরা প্রোমোটারের সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর আগে কথাবার্তা বলে জি প্লাস ফোর একটি ফ্ল্যাট করার অনুমতি দেন প্রোমোটারকে।সেইমতো জি প্লাস ফোর ফ্ল্যাট টি তৈরি করা হয়। কিন্তু সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল ফ্ল্যাট টি তৈরি হবার পর আবাসিকরা ফ্ল্যাটে চলে এসেছেন বসবাস করতে।
কিন্তু সমস্যা শুরু হলো যখন ওই ফ্ল্যাটের প্রোমোটার চারতলার ছাদের উপরে একটি ফ্ল্যাট তৈরি করলেন। জমির মালিক বারবার জানার চেষ্টা করেছে প্রোমোটারের কাছে যে আপনি যে চারতলার উপরে ফ্ল্যাট ঘরটি বানাচ্ছেন সেটা বৈধ কিনা। প্রোমোটার বারংবার জমির মালিক কে বলে গেছেন তিনি বৈধভাবেই তা তৈরি করেছেন।
কিন্তু জমির মালিকের সন্দেহ হওয়াতে, জমির মালিক যখন তার কাছে ওই পাঁচ তলা ফ্ল্যাটের আইনি বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চান তখন প্রোমোটার দেখাতে পারেননি। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত।
প্রোমোটার কে জমির মালিক বারণ করা সত্ত্বেও প্রোমোটার তার কোন কথায় কর্ণপাত করেননি। তারফলে শুরু হয় প্রোমোটারের সাথে জমির মালিকের বাক- বিতন্ডা।
অবশেষে প্রোমোটারের ওই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেন জমির মালিক। দীর্ঘ বছর আইনি লড়াইয়ের পর হাইকোর্টের নির্দেশে হাওড়া জেলার জেলা পরিষদের কর্মদক্ষরা আইনি কাগজপত্র নিয়ে পুলিশের সাহায্যে ওই পাঁচতলার অবৈধ ফ্লাট টি ভাঙ্গা শুরু করেন এখনো তা ভাঙ্গার কাজ চলছে।
এখান থেকেই প্রমাণ হয় এই প্রকার অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে যদি জমির মালিকরা সঠিক পথে হাটেন প্রোমোটারদের ভয় না পেয়ে আইনের হাত ধরে। সুবিচার তারা একদিন না একদিন পাবেনই মনে করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।