সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: .প্রায় দু বছর পর স্কুল খোলার প্রথম দিনে সরস্বতী পুজোর অকাল পুষ্পাঞ্জলি দিল পড়ুয়ারা। শুধু পুষ্পাঞ্জলি দেওয়াই নয়, মায়ের মন্দির থেকে তাদের সুস্থ শরীরের কামনা করে চন্দনের ফোঁটাও দেওয়া হয়েছে কপালে। স্কুল খোলার প্রথম দিনে সরস্বতী পুজোর পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার এমন এক অভিঞ্জতায় আপ্লুত পড়ুয়ারা। তারা এই উদ্যোগের জন্য মন্দির কমিটিকে এবং স্কুল খোলার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
মঙ্গলবার সোনারপুরের বৈকন্ঠপুর বালক সংঘের ঘটনা। এখানেই গত বছর সরস্বতী পুজোর সময় মায়ের স্থায়ী শ্বেত পাথরের মন্দির তৈরি করা হয়। যেখানে সারা বছর ধরেই মায়ের পুজো হয়। তবে মঙ্গলবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করেছিলেন মন্দির কমিটি। এদিন সকাল থেকেই মন্দিরের সামনের এলাকা আলো দিয়ে সাজানো হয়। মাইকে বাজতে থাকে রবীন্দ্র সংগীত। সরস্বতী পুজোর আমেজ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তার মধ্যেই মন্দিরের সামনে জড়ো হতে থাকেন পড়ুয়ারা এবং অভিবাবকরা।
পুরোহিত পুজো করার পর পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ান। অভিবাবকরাও মায়ের কাছে অঞ্জলি দেন। মন্দির কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ ঘোষ এবং প্রাক্তন পুরমাতা কবিতা ঘোষ জানান, রাজ্যের মধ্যে প্রথম শ্বেত পাথরের তৈরি সরস্বতী মন্দির এখানেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বহু দিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পর এদিন স্কুল খুলছে। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের মঙ্গল কামনায় এবং মায়ের আশীর্বাদ দিতে এদিন এখানে মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এলাকার বহু ছাত্র ছাত্রী মায়ের কাছে অঞ্জলি দিয়ে ও প্রার্থনা করে স্কুলে গেছে ।