নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: শান্তিপুর :: ১৭ই,এপ্রিল :: প্রেমে বাধা, একই সাথে ভাগাভাগি করে ঘাস মারার বিষ খেয়ে আত্মঘাতীর চেষ্টা প্রেমিক ও প্রেমিকার। ঘটনাটি নদীয়া শান্তিপুর ব্লকের বড় জয়াকুরের ডংক্ষিরা এলাকার। জানা যায় আত্মঘাতী যুবক ও যুবতীর নাম রাখি রাজুয়ার, ও চন্দন রাজওয়ার। যুবতী রাখির বয়স ১৬ পেরিয়ে ১৭ বছর। যুবক চন্দনের বয়েস ১৮ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে তারা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ, কিন্তু মাঝখানে নেমে আসে বাধা। দুজনেরই সিদ্ধান্ত, দুজনেই বাঁচবো একসাথে না হলে মরব একসাথে। অবশেষে সিদ্ধান্ত অটুট। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে চাষের জমিতে বসে ঘাস মারার বিষ বোতলে করে চরম সিদ্ধান্ত, ঠিক তাই, দুজনেই ভাগাভাগি করে খেয়ে ফেলল ঘাস মারার বিষ। এরপর দুজনেই অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ।
খবর পায় যুবতীর পরিবার, আশ্চর্য বিষয় যুবককে ফেলে রেখেই যুবতিকে ঘটনাস্থল থেকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। যুবক সামান্য জ্ঞানচক্ষু খুলতেই দেখে যুবতী উধাও, এরপর ফোন করে তার বন্ধুবান্ধবকে। ফোন পেতেই শটাং হাজির বন্ধু বান্ধবরা, তারপর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে যুবককে নিয়ে আসা হয় শান্তিপুর হাসপাতালে। সেখানেই আবারো মিল বন্ধন, বিষক্রিয়া থেকে মুক্ত করতে একসাথে চিকিৎসা চলে দুজনের।
তবে তখন কোন রকম বিভাজনের চিত্র ধরা পড়েনি। দুটি জীবন বাঁচানোর তাগিদে লড়াই চালিয়ে গেছে দুটি পরিবার। এই ঘটনা এখনো পর্যন্ত গোটা নদীয়া জেলায় উঠে আসেনি। চিকিৎসকেরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন প্রেমিক ও প্রেমিকার জীবন বাঁচানোর জন্য। অবশেষে দুজনেই শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কেন এই ঘটনা, এই নিয়ে যুবকের বন্ধুবান্ধবরা বিষয়টি খোলসা করলেও অনেকটাই এড়িয়ে যান যুবতীর পরিবারের লোকজন। তবে বলেই ফেলেন তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়নি মেয়ের পরিবার। ধৈর্যচ্যুত হয়েই এই সিদ্ধান্ত প্রেমিক ও প্রেমিকার। সত্যিই প্রেমের কাছে জীবন যে হার মানে তার চাক্ষুষ প্রমাণ আজ নদীয়া শান্তিপুরে।