নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: জলপাইগুড়ি :: রবিবার ৩০,মার্চ :: প্রেমে বাধা। এরপর প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে। প্রতিবাদে দাদাকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন।মৃত্যু নিশ্চিত করতে একের পর এক ১৮ বার ধারালো অস্ত্রের আঘাত। হার্ট, লিভার, কিডনি ছিন্নভিন্ন করে দেয় অভিযুক্ত। নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে বিরল থেকে বিরলতম আখ্যা দিয়ে অভিযুক্ত ভাইকে ফাঁসির সাজা দিল আদালত।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের ভক্তিনগর থানার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা শংকর দাস ও সুরেশ রায়। এরা সম্পর্কে মামাতো পিসতুতো ভাই। অভিযোগ সুরেশ তার মামাতো দাদা শংকর দাস এর বাড়ির কাছে থাকা একটি মেয়েকে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে মেয়েটির পরিবার শংকরকে অভিযোগ করলে সে সুরেশকে বকা দেয়।
এরপর থেকে সে আর ওই মেয়েকে উত্যক্ত করতো না। এরপর মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। সেই খবর পাওয়ার পর ২০২১ সালের মার্চ মাসে সকাল বেলা দাদা শংকর এর ওপর চড়াও হয় ভাই সুরেশ। শুরু হয় বচসা, এরপর প্রকাশ্য দিবালোকে দাদাকে কুপিয়ে খুন করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ১৮ বার ওই দেহের উপর আঘাত করে দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
শনিবার সাজা ঘোষনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন মৃতের আত্মীয় ও শান্তিনগর নাগরিক কমিটির সদস্যরা। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। ঘটনায় সরকার পক্ষের আইনজীবী শুভঙ্কর চন্দ্র বলেন, এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষী দেয়।
উভয় পক্ষর সাক্ষ্য শোনার পর এডিশনাল থার্ড কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায় শনিবার এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম আখ্যা দিয়ে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। তবে ফাঁসির সাজা শোনার পর সুরেশের মধ্যে কোনরকম পরিবর্তন দেখা যায়নি। এদিন মাথা নিচু করে ফাঁসির সাজা শুনে পুলিশের সাথে জেলে ফিরে গিয়েছে সুরেশ