নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শুক্রবার ১,আগস্ট :: ফের কলকাতা থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। ধৃত তরুণীর নাম শান্তা পাল, বয়স ২৮ বছর। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলায় এসে বিভিন্ন জাল নথি তৈরি করে বসবাস করছিলেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ কলকাতার গল্ফগ্রিন থানার অন্তর্গত বিক্রমগড় এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানকার একটি বাড়ির দোতলায় দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় পুলিশ। ধৃত শান্তা পাল সেখানে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই শান্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, শান্তা পাল বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁর কাছ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন ঠিকানার ভোটার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু আধার কার্ড এবং রেশন কার্ডও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও, শান্তার কাছ থেকে একাধিক বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, যা তাঁর নামেই ইস্যু করা হয়েছিল। শান্তা বাংলাদেশে কর্মরত থাকায় রিজেন্ট বিমান সংস্থার কর্মীদের পরিচয়পত্র এবং ঢাকা বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশিকাপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
দেড় বছর আগেই বিক্রমগড়ে ভাড়ায় এসেছিলেন শান্তা পাল তার স্বামী আশরাফের সঙ্গে। আশরাফ অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।
৩০ শে মে ২০২৫ সালে তারা বিবাহ বন্ধন আবদ্ধ হন.। তাদের বিবাহ শংসাপত্রে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাদের সাক্ষী রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে ২০২৩ সালের আগে একাধিকবারই রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন শান্ত পাল ।
তারপরে এখানে থাকার পাকাপাকি বন্দোবস্ত করেন তিনি। সংগ্রহ করেন ভুয়ো আধার কার্ড প্যান কার্ড। পুলিশ সূত্রে খবর তার কাছ দু থেকে তিনটি আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে। কিভাবে বিভিন্ন এড্রেস দিয়েই আধার কার্ড তিনি সংগ্রহ করলেন তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন বিক্রমগড়ের সেখানে যে আধার কার্ড দেয়া হয়েছিল সেখানে বর্ধমানের বাসিন্দা হিসেবে তার পরিচয় রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর তার বাবা-মা ও কলকাতায় থাকেন তাদেরও খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশ অধিকারীরা। যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।