নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার :: শনিবার ১৬,ডিসেম্বর :: কোচবিহার জেলার বক্সিরহাট রসিক বিল মিনি জু তে তিনটি নতুন লেপার্ড আনা হল শনিবার। ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ সোহেলের আগমন ঘটলো রসিকবিল মিনি-জু তে।
কয়েক বছর ধরে ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে মাদী চিতাবাঘ হর্ষিণীর সঙ্গে তার সংসার ছিল। তাদের রয়েছে সুলতান, শাহজাদর মতো সন্তানও। শনিবার জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম থেকে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার রসিকবিল মিনি-জুতে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে নিয়ে আসা হয় তার দুই সন্তান সুলতান, শাহজাদাকেও। রসিকবিল মিনি জু’য়ের মাদী চিতাবাঘ রিমঝিম, গরিমার সঙ্গে এক ডেরাতেই থাকবে ওরা । এদিন তাদের নিয়ে আসার সময় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বন বিভাগ।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কের পরিবর্তে সোহেল ও তার দুই সন্তানের ঠিকানা বদলের ছাড়পত্র মিলেছে। সেইমতো শনিবার রসিকবিলে পৌঁছে যায়া ওরা। শীতের মরসুমে রসিকবিলে নতুন অতিথিদের রসিকবিলে আসায় খুশির হাওয়া বইছে গোটা এলাকায়। পাশাপাশি সাজানো হয়েছে ‘নাইট শেল্টার’।
প্রায় এক হেক্টর এলাকা জুড়ে তৈরি তারজালির ঘেরাটোপ দেওয়া চিতাবাঘ উদ্ধার কেন্দ্রের ডেরায় তৈরি হচ্ছে নতুন বিশ্রাম স্থানের পরিকাঠামো। শনিবার ওই তিনটি চিতাবাঘের সঙ্গে ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার রেঞ্জ অফিসার অতুলপ্রসাদ দে, এক প্রাণী চিকিৎসক সহ মোট পাঁচ জন কোচবিহারের রসিক বিলে এসে পৌঁছয়।
কোচবিহারের রসিকবিল মিনি জু’তে বর্তমানে দুটি মাদী চিতাবাঘ রয়েছে। একটির নাম রিমঝিম, অন্যটির নাম গরিমা। দীর্ঘদিন পুরুষ সঙ্গী না থাকায় প্রাপ্তবয়স্ক ওই মাদি চিতাবাঘেরাও প্রজনন মরসুমে কিছুটা মনমরা হয়ে থাকত। সোহেলের মতো পুরুষসঙ্গী সেই আক্ষেপ ঘোচাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তা ছাড়া সুলতান, শাহজাদদের সঙ্গে খুনসুটি করেও অনেক বেশি ভাল সময় কাটাতে পারবে রসিকবিলের দু’টি মাদী চিতাবাঘ।