নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার :: মঙ্গলবার ১৯,আগস্ট :: চারপাশে সবুজ চা বাগান, মাঝখানে কাঁটাতারের বেড়া। বেড়ার ওপারে আফিজার রহমান, হাফিজার রহমান, জহিরুদ্দিন রহমান ও রশিদুল ইসলামের বসবাস।
স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরও তাঁরা যেন ‘স্বাধীন’ নন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে সীমান্তের গেট খোলার পর ভারতের মূল ভূখণ্ডে যাতায়াত সম্ভব। বাকি সময় তাঁদের নিজেদের গ্রামে একপ্রকার বন্দিজীবন কাটাতে হয়।বন্দিদশার চেয়েও বড় কষ্ট বিদ্যুতের অভাব। চারপাশের গ্রামগুলিতে রাতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলে। আর এই চার পরিবারের ঘরে? শুধু অন্ধকার। আলো পেতে তাঁরা সোলার প্যানেল কিনেছেন। একটিমাত্র বাতি মাঝে মধ্যে টিমটিম করে জ্বলে।
ষাটোর্ধ্ব জহিরুদ্দিন চোখের জল মুছতে মুছতে বললেন, ‘মরে যাওয়ার আগে অন্তত নিজের ঘরে বৈদ্যুতিক আলো দেখতে চাই।’ ক্ষোভের সুরে রশিদুলের বক্তব্য, ‘বাচ্চারা অন্ধকারে পড়াশোনা করে। ওদের চোখের দিকে তাকাতে পারি না। দেখলে কষ্ট হয়।’
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিরোলা ওরাওঁ বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছানোর আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন প্রত্যেক ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছানো।
কিন্তু কাঁটাতারের ওপারের এই চারটি পরিবারে সেই স্বপ্ন যেন অধরা থেকে গিয়েছে। কাঁটাতারের এই দিকটি ভারতের মানচিত্রে থাকলেও উন্নয়নের মানচিত্রে নেই।
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায়ের মন্তব্য, ‘পরিবারগুলি বিদ্যুৎ দপ্তরের অবহেলায় বঞ্চিত হচ্ছে। সাংসদ ডাঃ জয়ন্তকুমার রায়ের কাছে সমস্যার কথা তুলে ধরব।’ বিদ্যুৎ দপ্তরের মাথাভাঙ্গা ডিভিশনের ডিভিশনাল ম্যানেজার বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সুত্র :: উত্তরবঙ্গ সংবাদ অনলাইন