নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মঙ্গলবার ২৮,জানুয়ারি :: খোদ বর্ধমান শহরের অভিজাত এলাকা উল্লাস উপনগরীতে সম্পূর্ণ বিনা অনুমতিতে ফ্ল্যাট তৈরীকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো। কিভাবে জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া এই ফ্ল্যাট তৈরী হল – তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে উঠেছে।
উল্লাস উপনগরী সন্নিহিত জোতরাম এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ মিত্র জানিয়েছেন, এই ফ্ল্যাট তৈরী করছেন নিজামুদ্দিন সেখ। তিনি কোনোরকম পারমিশন, প্লান ছাড়াই এই ফ্ল্যাট তৈরী করছেন। তিনি তা আটকাতে চাইছেন।
কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, জোতরাম মৌজায় তাঁর একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে নিজামুদ্দিনবাবু। তাঁর জমির বিনিময়ে টাকা দেবার কথা থাকলেও তা দেয়নি। তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
এদিকে, রীতিমত অভিজাত এলাকা উল্লাস উপনগরী যা খোদ বর্ধমান জেলা পরিষদের অধীন – সেখানে বিনা অনুমতিতে কিভাবে তৈরী হল ৪ তলা ফ্ল্যাট তা নিয়েই শুরু হয়েছে বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থা এবং জেলা পরিষদের মধ্যে ঠেলাঠেলি। সাধারণত, বিডিএ-এর এলাকাধীন এলাকায় বিডিএ কোনো নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয়। তাহলে কিভাবে কি হল?
বিডিএ-র চেয়ারম্যান কাকলী গুপ্ত তা জানিয়েছেন, উল্লাস উপনগরী জেলা পরিষদের অধীন। বিডিএ-র কাছে ওই ফ্ল্যাট তৈরীর কোনো প্রমাণপত্রই নেই। এমনকি তাঁরা কোনো অনুমোদনও দেননি।
তাঁদের কাছে অনুমোদনও চাওয়া হয়নি। যদিও কাকলীদেবী জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে ওই নিজামুদ্দিন বাবু এসেছিলেন এবং ঝুরি ঝুরি মিথ্যা কথা বলেছেন।
এরপরই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জেলা পুলিশের সহায়তায় তাঁরা ওই নির্মাণকে শুধু বন্ধই নয়, পুরোপুরি ভেঙে দেবেন। এব্যাপারে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে অভিযোগ এসেছে।
বিডিএ এব্যাপারে কোনো অনুমোদন দিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি। এমনকি জানানো হয়ও না।
যেহেতু তাঁদের কাছে অভিযোগ এসেছিল, তাঁরা সরজমিনে খতিয়ে দেখেছেন। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এব্যাপারে আইনানুগভাবেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। অন্যদিকে, এব্যাপারে খোদ প্রমোটর নিজামুদ্দিন সেখের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি অভিযোগের বিষয়ে কোনো সদুত্তর দেননি।