নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: রবিবার ২৫,আগস্ট :: বর্ধমানের নান্দুরে আদিবাসী ছাত্রী খুনের কিনারা করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ধৃত অজয় টুডুকে নিয়ে শনিবার রাতে বর্ধমানের গাংপুর স্টেশনে আসেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। খুনের পর ধৃত কিভাবে পালিয়েছিল তার পুনর্নির্মাণ করা হয়।
সূত্রের খবর , খুনের পর একটি কালো পলিথিনের প্যাকেটে ছুরি ও জিন্সের প্যান্ট গাংপুর স্টেশন সংলগ্ন ঝোপে ফেলে পালায়। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে সেগুলি উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের দশ দিনের মাথায় তাকে পাঁশকুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। অভিযুক্ত মৃত ছাত্রীর পূর্বপরিচিত ছিল বলেই দাবি পুলিশের।
বর্ধমানের নান্দুর ঝাপানতলার প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা নামে এক তরুণী গত ১৪ অগস্ট সন্ধ্যায় খুন হয়েছিলেন। বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে সব্জি ক্ষেতের পাশ থেকে তাঁর গলার নলী কাটা দেহ উদ্ধার করা হয়। খুনের ১০ দিনের মাথায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল। উল্লেখ্য, খুনের ঘটনার কিনারা করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের সিট গঠন করেছিলেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরাতে। গত এক সপ্তাহ ধরে পাঁশকুড়াতে পুলিশের একটি দল ছিল। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে গা ঢাকা দিত ওই যুবক। তিনবারের চেষ্টায় পুলিশের হাতে পাকড়াও হয়েছে বছর আঠাশের ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল যুবতীর।