বর্ধমানে শিক্ষকের মারে গুরুতর আহত ছাত্র |

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: শনিবার ২৭,জুলাই :: গায়ে লাল – চাকা দাগ। কোথাও কালশিটে। স্কুলের সপ্তম ছাত্রটি সম্ভবত – ভাবতেও পারেনি তার শরীরে আছড়ে পড়বে শিক্ষকের হাতের ষ্টিলের স্কেল। শুক্রবার রাতে লিখিত অভিযোগ করে ছাত্রের পরিবারের লোক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শহরে।

মারের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রটি। পরিবারের লোকজন স্কুল থেকে ছাত্রটিকে নিয়ে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ওই ছাত্রর চিকিৎসা করানো হয়। পরিবারের লোক জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই ছাত্রের অভিভাবক ও অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে কথা বলবেন তাঁরা। তার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

শহরে নামী স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল। ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন স্কুলে টিফিনের সময়ে ঘটনাটি ঘটে। জল খাওয়ার জায়গায় কোনও এক ছাত্র চিৎকার করে ওঠে। তখন সেখানেই ছিলেন ইংরেজির শিক্ষক রঞ্জিত মুর্মু। তাঁর ধারণা হয় ওই ছাত্রটিই চিৎকার করেছে। এর পরেই তিনি ওই ছাত্রকে টেনে নিয়ে গিয়ে চুলের মুটি ধরে তাকে স্কেল দিয়ে মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ।

সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই ছাত্রের দিদি স্কুলে গিয়ে ভাইকে নিয়ে যান বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আসেন ছাত্রটির পরিজন। কিন্তু হাসপাতালে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা অভিযুক্ত শিক্ষক কারও দেখা পাননি তাঁরা। ফোনেই তাঁরা কথা বলেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে।প্রহৃত ছাত্রটির দাদা বলেন, জলের ‘জন্য ভাই কল থেকে জল আনতে গিয়েছিলো , হঠাৎ পাশ থেকে একজন কেউ চিৎকার করে ওঠে ।

আর তারপরেই ওই শিক্ষক মনে করেছেন ওই ছাত্র চিৎকার করেছে । তাকে চুলের মুঠি ধরে স্কেল দিয়ে মারতে থাকে ।আর এরপরেই ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।পরিবারের লোকজন ছাত্রটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তড়িঘড়ি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 7 =