উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: জেলায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুরু করল প্রশাসন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার নির্দেশে দমকল, পূর্ত দপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগকে নিয়ে গঠিত দল অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে কী কী সমস্যা রয়েছে তা রিপোর্ট করবে। জেলাশাসক তাঁর নির্দেশিকায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপারকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেয় এমন সংস্থাতও যাতে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্যে বলেন।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মঙ্গলবারই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে দমকল। কালনা মহকুমা হাসপাতালেও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার কথা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি মহারাস্ট্রের আহমেদনগরের একটি কোভিড হাসপাতালে আগুন লেগে ১১ জন মারা যায়। সেই ঘটনা নজরে আসতেই রাজ্য সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় দপ্তরে। দমকল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের আইসিইউ এবং যেখানে যেখানে রোগীরা ভর্তি থাকেন, সেই জায়গাগুলিতে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্যে সরকার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রত্যেক দিনের পরীক্ষার রিপোর্ট ডিজি(দমকল)-কে পাঠাতে হবে। প্রত্যেকটি জেলাতেই দমকলের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা একটি দল গঠন করে জেলাশাসকের নেতৃত্বে এই পরীক্ষার কাজ করবেন। সেই সূত্র ধরেই জেলাশাসক ওই চিঠি করেছেন। তবে, পূর্ব বর্ধমান জেলার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, আমাদের হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দেখে গিয়েছে দমকল। রিপোর্ট পাওয়ার পরে কী করণীয় বুঝতে পারব। এই হাসপাতালে পাইপলাইন রয়েছে। পুকুর থেকে জল নেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। প্রগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন বলেন, আমরা নির্দেশ পেয়েছি। সরকারি নির্দেশ মেনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা দেখা হবে।