নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বুধবার ১৫,অক্টোবর :: তিন ঘন্টায় বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। গ্রেফতার অভিযুক্ত দুই মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। বুধবার অভিযুক্তদের তোলা হয় বর্ধমান জেলা আদালতে
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১৮ দিনের বাচ্চা চুরির ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। তিন ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে এলো অভিযুক্ত মা ও মেয়ে। অভিযুক্তদের বুধবার বর্ধমান জেলা আদালতে পেশ করে বর্ধমান থানার পুলিশ। শিশুটিকে উদ্ধার করে মা ও বাবার কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা যায় শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরফে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় অভিযুক্ত দুজনের বাড়ি শহর বর্ধমানের কেষ্টপুর এলাকায়। উল্লেখ্য : বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু চুরির অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায় মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ।
১৮ দিনের এক শিশুপুত্রকে হাসপাতাল চত্বর থেকে চুরি করে পালানোর অভিযোগ উঠেছিলো এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, আউটডোরের শিশু বিভাগে শিশুটিকে দেখাতে মঙ্গলবার মা সেলেফা খাতুন তার ১৮ দিনের শিশুপুত্রকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে ছিলেন তার মা হামিদা বিবি।
শিশুটির বাবা সুজল সেখ তখন ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। সেলেফার নিজেরও এদিন প্রসূতি চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করার কথা থাকলেও, চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় চেক-আপ হয়নি।
এরপর প্রসূতি বিভাগের বহিঃবিভাগের বারান্দায় সেলেফা খাতুন ও তার মা শিশুটিকে নিয়ে বসে ছিলেন। সেই সময়ই এক হলুদ রঙের চুড়িদার পরিহিতা মহিলা তাদের কাছে এসে শিশুটিকে আদর করতে থাকেন এবং কিছুক্ষণ পর কোলেও নেন।
হামিদা বিবির অভিযোগ, অল্প সময়ের মধ্যেই ওই মহিলা শিশুটিকে কোলে নিয়েই সেখান থেকে উধাও হয়ে যান।
বিষয়টি টের পেয়ে হামিদা বিবি তড়িঘড়ি জামাই সুজল সেখকে ফোন করে জানান। সুজল সেখ সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এদের বাড়ি বীরভূমের কীর্ণাহারের বলরামপুরে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে।