উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। রোগীকে সময়মতো অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। ইনজেকশনও ঠিকমতো প্রয়োগ করা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সকে বারবার বলা সত্বেও তাঁরা কর্ণপাত করেন নি।
উল্টে পরিজনদের কাছে রোগীকে কেন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলনা তা জানতে চাওয়া হয়। বেশি তাগাদা দিলে রোগীর পরিজনদের নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এনিয়ে মৃতের স্ত্রী হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিছুদিন আগে এক প্রসূতির চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতিতে প্রসূতি বেডেই প্রসব করেন। বেড থেকে সদ্যোজাত পড়ে গিয়ে চোট পায়।
সেই সময়ও তদন্ত কমিটি গড়ার আশ্বাস দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটির রিপোর্ট এখনও জনসমক্ষে আসেনি। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এক্ষেত্রেও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে মৃতের পরিজনদের সন্দেহ রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা থানার গৌতম বারুই (৪৬) গত ৭ ডিসেম্বর জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কালনা হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
তাঁর কোভিড পরীক্ষাও করানো হয়। কোভিডের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে পরিজনদের দাবি। এরপর তাঁকে রাধারাণি ওয়াের্ড স্থানান্তরিত করা হয়। পরেরদিন রাতে চিকিৎসক রোগীর জন্য কয়েকটি ইনজেকশন লিখে দেন। তাঁকে অক্সিজেন দেওয়ারও পরামর্শ দেন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান গৌতম।
হাসপাতালের সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ৪ জনের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটিতে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। রিপোের্ট কাউকে দোষী করা হলে ঘটনার সময় কারা ডিউটিতে ছিলেন তা দেখে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।