বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওমিক্রণের সংক্রমন ঠেকাতে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে পরিকাঠামো সাজিয়ে তুলছেন

উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ ::বর্ধমান :: আতঙ্ক বাড়িয়ে ভারতে ইতিমধ্যেই ঢুকে পড়েছে ওমিক্রন। ওমিক্রন নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও পাঠিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। নির্দেশিকা আসার পরে পরেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে নিজেদের পরিকাঠামো সাজিয়ে তুলছেন।

করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে। গড়ে ৩-৪ জন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে। একশো কুড়ি বেডের যে ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছিল করোনার জন্য, সেই বেড গুলিকেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ওমিক্রণের সংক্রমন ঠেকাতে।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে শুক্রবারই মক টেস্ট করা হয়েছে ওমিক্রণের জন্য। ওষুধ থেকে ভেন্টিলেটর এর ব্যবস্থাও করা হয়ে গিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘আমরা সেই অর্থে তৈরী আছি ওমিক্রণের মোকাবিলায়। প্রয়োজনীয় মক টেস্টও আমরা করে ফেলেছি ইতিমধ্যেই। ১৪০ টা বেড যা আমরা করোনার তৃতীয় ঢেউ এর জন্য ছিল সেগুলিকেই নতুনভাবে চেক করে নিয়েছি। অক্সিজেন, ওষুধ, চিকিৎসক থেকে নার্স সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা তৈরী আছি বলতে পারেন।’

ইতিমধ্যেই করোনার জন্য ব্যবহৃত বেড গুলিকে স্যানিটাইজ করার পাশাপাশি যে ঘরে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হয়েছে সেই জায়গাও স্যানিটাইজ করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমানে পিপি কিট ও মাস্কও রাখা হয়েছে। মেডিক্যাল সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘এখনও কোন ওমিক্রণ সংক্রমনের রোগী হাসাপাতালে আসেনি, কিন্তু ঝুঁকি নিইনি আমরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইড লাইন মেনেই সমস্ত কিছু তৈরী করে রেখেছি।

তবে আমরা এখনও সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করছি বারবার করে মাস্ক ব্যবহার করুন। জামা কাপড়ের মতন মাস্ক কেও সঙ্গী করে নিন। আর বারেবারে নিজের হাত স্যানিটাইজ করুন। এতে আক্রান্ত হবার সংখ্যা অনেকটাই কমবে এটা কিন্তু ইতিমধ্যেই পরীক্ষিত।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 + ten =