বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাকিতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন্ন এমনকি বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমান।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ ::বসিরহাট :: শুক্রবার ২০,অক্টোবর :: বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের টাকিতে প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন্ন এমনকি বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমান। দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন দেখতে হোটেল গুলিতে ইতিমধ্যে বুকিং শেষ হয়ে গিয়েছে। টাকিতে তিলধারনের জায়গা নেই।

শান্তিপূর্ণ বিসর্জনের উদ্দেশ‍্যে ইছামতি নদীবক্ষে জিরো পয়েন্টে বসিরহাট পুলিশ জেলা ও টাকি পৌরসভার সহযোগিতায় বিএসএফ ও বিজিবির যৌথ ফ্লাগ মিটিং হয়ে গেল। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে, দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন হবে ২৪শে অক্টোবর ইছামতিতে। দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে ইছামতি নদীতে নিয়ম মেনে জমিদার বাড়ি ও বারোয়ারী ক্লাবগুলোর প্রতিমা নিয়ে নৌকা নামবে।

দর্শনার্থীরা কিন্তু কেউ আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করবে না। দুই বাংলার প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে বৈঠকে ছিলেন টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজী, হাসনাবাদের এসডিপিও দেবরাজ ঘোষ, আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ। পাশাপাশি বিএসএফের পক্ষ থেকে ৮৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডিং অফিসার দলজিত সিংহ ও বাংলাদেশের বিজিবি অর্থাৎ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের আধিকারিকরা ছিলেন।

এদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী মঙ্গলবার, ২৪ শে অক্টোবর মঙ্গলবার নির্দিষ্ট দিনে ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে দর্শনার্থীদের এবং ঠাকুরের নৌকা জিরো পয়েন্ট বরাবর সীমান্ত অতিক্রম না করে প্রতিমা নিরঞ্জন করবে। ইতিমধ্যে টাকির ঘাট গুলোতে পুলিশ ও বিএসএফ যৌথভাবে টহল শুরু করেছে। কোনভাবে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

পাশাপাশি অনুপ্রবেশের উপর নজর রাখবে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। পাশাপাশি ইছামতির বিভিন্ন ঘাট গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে বিএসএফ ও পুলিশ। মেডিকেল টিম, স্বাস্থ্য কর্মী ও পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে। কোন অঘটন যাতে না ঘটে ইতিমধ্যে টাকি পৌরসভা, বসিরহাট পুলিশ জেলা ও বিএসএফ চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =