নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: বসিরহাট থানার ভবানীপুর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচ্ছাপুর গ্রামের ঘটনা। বছর ৩৫,এর, শংকর ঋষি। এদের দুটি সন্তান রয়েছে, বছর ৫ এর পুত্র সন্তান ঋজু ও বছর ৯ এর, কন্যা সন্তান রিয়া পুরো পরিবারটা শ্রমিক পরিবার।
কোন রকম ভাবে লোকের জমিতে কাজ করে দিন গুজরান করতেন। অভাব অর্থ সংকট দৈনন্দিন জীবনের নিত্য দিনের সঙ্গী।
একেবারে নুন আনতে পানতা ফোরানোর শ্রমিক পরিবারের দারিদ্রতাই চরম সংকট। এই নিয়ে দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল বচসা হত, ঠিকমতো সংসার চলত না। শেষ পরিণতি মৃত্যু, একতলা ঘরের সিলিং ফ্যানে একদিকে স্ত্রীর অন্যদিকে শাড়িতে স্বামী, গলায় দড়ি ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় আজ সকাল বেলায়। বিছানায় শুয়ে রয়েছে দুই সন্তান।
ঘুম থেকে উঠে দেখে বাবা শংকর-মা ঊষা গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখে স্বামী স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এর পিছনে শুধুই কি অভাব পারিবারিক গণ্ডগোল না অন্য কোন ঘটনা তদন্ত করে দেখছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ।
তদন্তকারীরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আত্মঘাতী মোটিভ একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন। স্বামী আত্মঘাতী আগে হয়েছে না তারপর স্ত্রী। না আগেই স্ত্রীকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দিয়ে তারপর স্বামী আত্মঘাতী হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যাবে।