নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বহরমপুর :: রবিবার ২১,এপ্রিল :: মুর্শিদাবাদ জেলার, বড়ঞা ব্লকের, খোরজুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে , বদুয়া গ্রামের। নাম এজের সেখ। দুই মেয়ে ১০০% শারীরিক প্রতিবন্ধী। সাধ রয়েছে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করবেন। কিন্তু ফেরি করে সেই স্বপ্ন সাধ্যে কুলোচ্ছে না।
সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারটিকে। বড়ঞা থানার বদুয়া গ্রামের এজির শেখের পরিবারের দুই প্রতিবন্ধী মেয়েকে উচ্চ শিক্ষিত করে তোলায় এখন দায় হয়ে পড়েছে। তাই প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব সকলের কাছেই তাঁরা সাহায্য চাইছেন।
এজির শেখের তিন মেয়ের মধ্যে বড় ও মেজ মেয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। এর মধ্যেও বড় মেয়ে নারভিনা দশম শ্রেণিতে পড়ে। মেজ মেয়ে সোনিয়া নবম শ্রেণিতে পড়ে। তাঁরা যে খুব পড়াশুনায় ভাল তা অবশ্য নয়। কিন্তু পরিবারের স্বপ্ন রয়েছে ভাল টিউশন দিয়ে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করে নিজের পায়ে খাড়া করবেন।
কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার কোন লক্ষনই দেখতে পাচ্ছেন না পরিবার। কারণ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে বলতে বাবা এজির শেখ। পেশায় তিনি ফেরি করেন প্রতিবেশি গ্রাম গুলিতে। তাঁর বক্তব্য যা রোজগার হয় তাতে পাঁচজনের পেটের খাবার যোগাড় হয় কোনমতে। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার মত উপার্জন তিনি করতে পারেন না।
দুই নাবালিকার মা মানোয়ারা বিবির বক্তব্য, প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতা সকলের কাছেই তিনি সাহায্যের আবেদন করছেন। সাহায্যের আশ্বাসও মিলছে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মত এখনও পাশে কেউই দাঁড়াননি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার জন্য তিনি ঊশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন