নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: থলি হাতে গ্রীষ্মকালীন বাজারে গেলে প্রথমেই চোখ যায় ঝিঙে এবং লাউ এর দিকে।আমরা তো পয়সা ফেলেই ব্যাগের মধ্যে ভরেনিই এইসব সবজি | কিন্তু এই সবজি ফলানোর পিছনে বছরভর অক্লান্ত পরিশ্রমে নিমজ্জিত থাকেন চাষীরা।মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়ে সার এবং বীজ কিনে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ঝিঙে ফলিয়েও, লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না কৃষকরা যার জেরে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাদের। কথায় আছে না ‘আশায় বাঁচে চাষা’ ।
তাদের আশা ছিল সারা বছরের পরিশ্রমের ন্যায্য দাম তারা পেয়ে মহাজনকে টাকা সুদ সমেত ফেরত দিয়ে লভ্যাংশ বাড়িতে তুলবে ।কিন্তু সেই আশাই সার। পাইকারি বাজারে এখন এক টাকা থেকে পঞ্চাশ পয়সা মূল্যেতে বিকোচ্ছে ঝিঙে। আড়তদার থেকে শুরু খুচরো ব্যাবসায়ীরা কিছুটা পয়সার মুখ দেখতে পেলেও ফসল ফলানো মানুষগুলো বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।
এক আড়তদার জানান, এই বছর সারা জেলা জুড়ে ঝিঙের অধিক ফলন হওয়াতে যেটাকা খরচ করে চাষ করেছিলেন কৃষকেরা তার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। এই অধিক ফলনের কারণে, রাগে অভিমানে কৃষকেরা ঝিঙে ফেলে দিচ্ছেন দামোদর নদী বক্ষে যার জেরে পশুদের চারনভূমি হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নদী।দিবারাত্রি পরিশ্রম করে ফলানো ফসল এখন খাদ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে পশুদের। এক কৃষক জানাচ্ছেন, আমরা আশায় আছি আজ দাম বাড়বে কাল বাড়বে, কিন্তু সেই আশাই সার ।
বুড়ো হয়ে যাওয়া ঝিঙে কেটে নদীতে ফেলে দিতে হচ্ছে। চাষীরা দাবী করছেন যদি সরকারী হস্তক্ষেপে এই ফসল বিক্রির ব্যাবস্থা হয় তাহলে হয়তো তারা ন্যায্য মূল্য পেতে পারে।এতোটা টানাপোড়েনের পরেও কৃষকেরা যেন আশায় বুক বাঁধছেন, তাদের সুদিন একদিন ফিরে আসবে।