নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: জঙ্গল মহলে ড্রাগন ফলের চাষ করে বিকল্প আয়ের দিশা দেখাচ্ছেন আদিবাসী যুবক। শুধু চাষ করে নিজেই, অন্যকেও বার্তা দিচ্ছেন এই চাষ করার জন্য। বাঁকুড়া রাইপুর ব্লকের সামারবেড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ টুডু স্বাভাবিক চাষবাস ছাড়াও বিকল্প আয়ের খোঁজ করছিলেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি ড্রাগন ফল চাষের বিষয় দেখেন। আর সেই ভাবনা থেকে শুরু কাজ।
কেনেন প্রায় এক বিঘা জমি। যোগাযোগ করে কল্যানীর বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাথে। সেখান থেকে আনেন চারা এবং তাদের পরামর্শ মতো শুরু কাজ। দিলীপ বাবুর কথায় এক বিঘা জমিতে ড্রাগন লাগাছে গাছের চারা, সার, মজুরি এবং গাছে জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটি নিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ। গাছ লাগানোর প্রায় দেড় বছর পর থেকে উঠতে শুরু করে ফল।
বছরে পাঁচবার তোলা যায় ফল। বর্তমানে দিলীপ তার বাগান থেকে একবারে ২০ কেজির মতো ড্রাগন ফল তুলে বাজারে বিক্রি করছেন। একবার ফল তুললে প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো অর্থ আসে। অর্থাৎ এক বছরে প্রায় এক লক্ষ টাকার ফল বিক্রি হয়।
যদিও তাঁর দাবী, এই এলাকায় এখনো সে ভাবে চাহিদা না থাকায় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা প্রতি কেজির বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে না। না হলে হয়তো আরো বেশি দাম পাওয়া যেত। দিলীপ টুডু জানিয়েছেন, গাছ যত বড় হবে তত ফলন বাড়বে।
তখন এই জমি থেকেই পাঁচ গুন বেশি ফলন পাওয়া যাবে বলে দাবী। আর এরপর প্রতি বছর ওই জমিতে রাসায়নিক সার ও পরিচর্চা খরচ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। দিলীপ বাবু জানিয়েছেন, অনান্য সমস্ত চাষের থেকে অনেক বেশী লাভ জনক চাষ। আর যে জমিতে ড্রাগন লাগানো হয়েছে সেই জমির ফাঁকা জায়গাতে সাথী ফসল হিসাবে অনান্য সব্জি ও লাগানো যাবে, যেখান থেকে বাড়তি আয় করাও সম্ভব ।