বাঁকুড়ায় কাজে যোগ দিতে চাওয়া কর্মীদের জেলা শাসকের দপ্তরে গেট বন্ধ করে ধর্মঘটীরা ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে – অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: ১০ই,মার্চ :: বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, স্বচ্ছতার সঙ্গে শূণ্যপদে নিয়োগ, অস্থায়ী কর্মীদের নিয়মিতকরণ, বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ করে গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে সারা রাজ্যের সঙ্গে বাঁকুড়া জেলা জুড়েও ‘যৌথ মঞ্চে’র ডাকে ‘ধর্মঘট’ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বাঁকুড়া জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে সংগঠনের বাঁকুড়া জেলা কমিটির সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কাজে যোগ দিতে চাওয়া কর্মীদের জেলা শাসকের দপ্তরে গেট বন্ধ করে ধর্মঘটীরা ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

এই কর্মসূচীতে উপস্থিত সিআইটিইউ নেতা প্রতীপ মুখার্জী বলেন, আমরা ট্রেড ইউনিয়ন গুলির পক্ষ থেকে এই ধর্মঘটকে সমর্থণ জানাচ্ছি। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ২০০৯ সালে বলেছিলেন, যে সরকার কর্মচারী শিক্ষকদের ডি.এ দিতে পারেনা তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।

আমরা এখন বলছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিন যে কথা বলেছিলেন আজ তিনি সেই কথা কার্যকরী করুন। এখন ছ’লক্ষ পদ শূণ্য, আর যা নিয়োগ হয়েছে তার ফল কি সবাই জানেন। আন্দোলন ভাঙ্গার যে পন্থা নেওয়া হয়েছে তা বন্ধের দাবিও জানান তিনি।

১২ জুলাই কমিটির পক্ষে প্রণব মুখার্জী বলেন, লড়াই আন্দোলন করেই ইতিপূর্বে আমরা সমস্ত দাবি আদায় করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই, তাঁর দিন শেষ হয়ে এসেছে বলে তিনি দাবি করেন।

আই.এন.টি.ইউ.সি নেতা অভিষেক বিশ্বাস বনধ সর্বাত্মক সফল দাবি করে বলেন, সরকারী কর্মচারীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ এই বনধকে সমর্থণ জানিয়েছেন। শুধু মহার্ঘ্যভাতা নয়, শূণ্যপদে নিয়োগ ও অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের দাবিতেও তাঁরা পথে নেমেছেন বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − fifteen =