নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নাগরাকাটা :: শুক্রবার ২৭,জুন :: সুচিত্রা সেন অভিনীত কালজয়ী বাংলা সিনেমা দীপ জ্বেলে যাই এর কথা অনেকেই জানেন। সেখানে মানসিক হাসপাতালের নার্স রাধা তাঁর রুগীদের প্রতি এতই একাত্ম হয়ে পড়েছিলেন শেষে নিজেই মানসিক রুগীতে পরিণত হন।
কাহিনীতে সামান্য কিছু বদল থাকলেও নাগরাকাটার ভগতপুর চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত নার্স শুক্লা চক্রবর্তীর জীবনে হুবুহু একই প্রতিচ্ছবি। মানসিক ভারসাম্যহীন একমাত্র ছেলে সহ তিনি শুধু কোনরকমে বেঁচে রয়েছেন।
সেটাও পাড়া প্রতিবেশীদের দয়া দাক্ষিণ্যে। এক বেলা খেলে বাকী দু বেলা কি জুটবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। বাগানের যে কোয়ার্টারের এক চিলতে ঘরে মা-ছেলে থাকেন সেটার পরিস্থিতি কার্যত নরককুন্ড। আলো নেই। পাখা নেই।
পানীয় জলটুকুও কেউ দিয়ে গেলে জোটে। ঝাড় জঙ্গলে ঘেরা বাড়িতে ঘরের মেঝেতেই শুয়ে থাকেন দু জন। মৃত্যুপথযাত্রী কঙ্কালসার ওই নার্স ও তাঁর ছেলেকে কিভাবে বাঁচাবেন এখন তা ভেবে কোন কূলকিনারা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। কি বলছেন শুক্লা চক্রবর্তী ?
জড়ানো কন্ঠে তাঁর বক্তব্য, আমরা তো বাঁচতেই চাই। প্রতিবেশীরা আর কতদিন দেখবে। বাঁচার এই আর্তি কেউ শুনবেন কি। শুক্লা দেবী কিন্তু এককালে পরম মমতায় হাজার হাজার রুগীকে বাঁচার পথই বাতলে দিতেন।