বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার, প্রায় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় যাত্রীদের, কংক্রিটের ফেরিঘাটের দাবি সুন্দরবন বাসীর

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হিঙ্গলগঞ্জ :: মঙ্গলবার ৮,এপ্রিল :: সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের ১১ নম্বর স্যান্ডেলার বিল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ নম্বর স্যান্ডেলার বিলের ওই পারে আছে খেজুর বেড়িয়া, বিশপুর, বাইলানি সহ একাধিক গ্রাম

মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে গৌড়েশ্বর নদী।এপারে রয়েছ স্টেট ব্যাংক বিডিও অফিস ইলেকট্রিক অফিস, কলেজ সহ একাধিক প্রশাসনিক দপ্তর।

তাদের নিত্যদিন পার হয়ে এপারে আসতেই হয় আর পারাপারের একমাত্র মাধ্যম ৩০ ফুট লম্বা ৬ ফুট চওড়া বাশের সিড়ি যার উপর নির্ভর চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত সহ একাধিক গ্রামের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের যাতায়াত।

এই ১১ নম্বর স্যান্ডেলার বিলের খেয়াঘাটের বেহাল অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে খারাপ হয়ে পড়ে আছে। বারবার ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি। খেয়া ঘাটের বেহাল অবস্থা হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে সুন্দরবনবাসী ।

সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন বাইক বা সাইকেল নিয়ে পারাপার করা খুবই কষ্টকর এই ঘাট দিয়ে কারণ ইলেকট্রিকের পোষ্ট, ইট,বালির বস্তা দিয়ে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে।

সাধারণ মানুষ জানিয়েছেন আর মাত্র কয়েকটা দিন বাদেই বিষ্ণপুর হাজারী কালী মেলা অনুষ্ঠিত হবে সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয় তাদের পারাপারের একমাত্র ভরসা এই খেয়াঘাট।

আর এই খেয়া ঘাটের অবস্থায় ভয়ানক যে কোনো মুহূর্তে নদীতে চলিয়ে যেতে পারে সবকিছু জেনেশুনে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

তবে হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গাঙ্গুলী জানিয়েছেন বিষয়টা জানলাম আমরা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানাবো এটা সেচ দপ্তরের করার কথা এখনো হয়নি কেন বলতে পারছি না তবে বিষয়টি সরেজমিনে ক্ষতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠাবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 1 =