সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: বুধবার ২৫,ডিসেম্বর :: প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে উদ্বেগ জনক পরিস্থিতি এরই মধ্যে ১২ জন মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিল ডায়মন্ডহারবার জেল। গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় এফ বি পারমিতা ৫ নামে একটি বাংলাদেশী ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল।
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় উত্তাল সমুদ্রে উল্টে যায় ট্রলারটি । এরপর মৎস্যজীবীরা কোনও রকমে ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জল-সীমানার মধ্যে প্রবেশ করে। ওই মৎস্যজীবীদের বাঁচাতে মৃত্যু-ভয় উপেক্ষা করে এগিয়ে আসে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। তৎপরপতার সঙ্গে ১২ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে তারা । এরপর তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ ।
আদালতে তোলা হলে তাদের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয় আদালত । মঙ্গলবার ডায়মন্ডহারবার জেল থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। কাকদ্বীপের বিডিও এবং কাকদ্বীপ থানার আইসির উপস্থিতিতে সংশোধনাগার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে হস্তান্তর করা হয়। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের জেলে বন্দি ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবী। প্রায় দু’মাস আগে কাকদ্বীপের ছয়টি ট্রলারকে আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশের জল সীমান্তে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। তাদের ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করছে সরকার।
দিন কয়েক আগে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের যে মৎস্যজীবীরা আটকে রয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হোক । আর বাংলাদেশেও যে এদেশের মৎস্যজীবীরা আটকে তাদের ছেড়ে দিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ।