নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হিলি :: শনিবার ৩১,আগস্ট :: বাংলাদেশের অস্থিরতা পরিস্থিতির মধ্যেই সীমান্তে পাচার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএসএফ। হিলিতে জরুরী বৈঠক বিএসএফের এডিজির, ধমক আধিকারিকদের।
এডিজি রবি গান্ধীর উপস্থিতিতে দফায় দফায় বিএসএফের এমন বৈঠকে যথেষ্টই আলোড়ন পরিস্থিতি তৈরি হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে। যদিও গোপন ওই বৈঠক নিয়ে সেভাবে কিছুই বলতে চাননি এডিজি রবি গান্ধী।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ২৫২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকা আজও উন্মুক্ত। যে এলাকা দিয়ে বিএসএফের নজর এড়িয়ে প্রায় প্রতিনিয়তই চলে পাচার থেকে অনুপ্রবেশ সহ যাবতীয় অবৈধ কারবার।
মুলত জেলার কুমারগঞ্জ, হিলি, কুশমন্ডি, তপন ও বালুরঘাটের বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে চলে এই অবৈধ কারবার। যা নিয়ে বেশকিছু জায়গায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তাও সামনে এসেছে ইতিমধ্যে। সম্প্রতি বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতেই কিছুটা ফাটল ধরেছে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের। আর যা নিয়েই ইতিমধ্যে আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতীয় সীমান্তগুলি।
কিন্তু এর মাঝেও চলছে দেদার পাচার কাজ ও অনুপ্রবেশ। যার মধ্যে প্রায় ৫ জন অনুপ্রবেশকারীকে ইতিমধ্যে ধরতেও সক্ষম হয়েছে বিএসএফ। তবে হিলি সীমান্ত দিয়ে সোনা ও কুমারগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে গরু ও কাফ সিরাফ পাচার মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছাতেই কিছুটা নড়েচড়ে বসেছে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুধুমাত্র হিলিতেই ছমাসে প্রায় তিন কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে বিএসএফ। বিপুল পরিমান এই উদ্ধার নিয়েই সামনে এসেছে এ জেলায় দেদার পাচারের এক গোপন পরিসংখ্যান।