নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বিদেশ ডেস্ক :: মঙ্গলবার ১০,ডিসেম্বর :: বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের পর বিশেষ করে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দু ও অন্যান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন একইসাথে তাদের বিনা দোষে মামলা দেওয়া,
বাড়িঘর, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানসহ ও উপসানলয়ে হামলার প্রতিবাদে জার্মানির বার্লিনে সমাবেশ করেছে প্রবাসীদের বেশ কয়েকটি সংগঠন। বার্লিনের ঐতিহ্যহাসিক ব্রান্ডেনবুর্গার গেটে বার্লিনসহ আশেপাশের সর্বস্তরের প্রবাসীরা যোগ দেয়।
সমাবেশ থেকে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ সকল সম্প্রদায়ের উপর সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। সমাবেশ থেকে বক্তারা রাষ্ট্রদোহ মামলায় বন্দী প্রভূ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানান।
এসময় প্রতিবাদের ভাষায় বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সুপরিকল্পিত ভাবে সারা বাংলাদেশে হিন্দু ও ভিন্ন ধর্মের ও মতের সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে হামলা চালানো হচ্ছে তা অত্যান্ত লজ্জার ও অপরাধের।
একই সাথে তাদের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার মত ঘটনা ছাড়াও ভাঙ্গা হয়েছে বেশ কয়েকটি মন্দির। দেশে এখনো অনেক হিন্দু ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না বলেও উল্লেখ করেন তারা।
আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাটি খুড়লেই দেখা যাবে দেশের প্রায় মানুষ ছিলেন হিন্দু। অথচ ক্ষমতাবানদের আচরণ দেখে মনে হয় হিন্দুরা এদেশে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। যখনই দেশে সরকার পরিবর্তন হয় তখনই হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়। দূর্গাপূজা-পার্বণের সময়েও হিন্দুদের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতে হয়।
এই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান এখন সময়ের দাবী উল্লেখ করে প্রবাসীরা বলেন, হিন্দুরা কোন রাজনৈতিক দলের সম্পত্তি নয় শুধু সাধারণ হিন্দুদের এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানান। তবে দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘুদের যেকোন মূল্যে রক্ষায় সচেষ্ট হবেন এমন আশা ব্যক্ত করেন। সমাবেশে সর্বস্তরের প্রবাসীরা অংশগ্রহণ করেন।