আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: চন্দনগর :: বঙ্গতনয়ার অসাধ্যসাধন। কিছু অংশ কৃত্রিম অক্সিজেন ছাড়াই এভারেস্ট জয় চন্দননগরের শিক্ষিকা পিয়ালি বসাকের । উচ্ছ্বসিত অন্যান্য পর্বতারোহীরা। আপাতত শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন পর্বতারোহী পিয়ালি ।
অক্সিজেন ছাড়া পিয়ালির এভারেস্ট জয়ের বিষয়টি ভাবতেই পারছেন না পর্বতারোহী বসন্ত সিংহ রায়। তিনি বলেন, “আমি ভাবতেই পারছি না এটা সম্ভব। একজন ভারতীয় মহিলা পর্বতারোহী যা করেছেন, তা অসাধ্য সাধন ছাড়া কিছুই নয়।” আগামি দিনে পিয়ালির আরও সাফল্য কামনা করেছেন পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত।
কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন তাদের প্রতিবেদনে লিখছেন আর পাঁচজনের মতো চেনা স্রোতে কোনওদিনই গা ভাসাননি পিয়ালি। অঙ্ক নিয়ে স্নাতক। তারপর তিনি দেখেন বন্ধুবান্ধবরা রুজিরুটির টানে ইঁদুর দৌড়ে শামিল হয়েছেন। কিন্তু সেই দৌড়ে শামিল হতে মন সায় দেয়নি পিয়ালির। কারণ, ততক্ষণে তাঁর মনের দখল নিয়েছে পাহাড়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ‘হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট’-এ নাম লেখালেন পিয়ালি। এরপর আর ফিরেও তাকাননি।
২০১৮ সালে মানাসলু শৃঙ্গে পা রেখে ইতিহাস গড়েছিলেন। মানাসলু বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ। তারপর স্কুলশিক্ষিকা পিয়ালির লক্ষ্য ছিল সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গজয়। প্রথম ভারতীয় পর্বতারোহী অক্সিজেন ছাড়া নেপালের আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো ৮,১৬৭ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট ধৌলাগিরি জয় করেন পিয়ালি। এবার অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট জয়। এবারে তাঁর অক্সিজেন ব্যবহার বলাযায় আংশিক কারণ একটা সময় তুষার ঝড়ের কারণে শেরপাদের পরামর্শে তাঁকে কিছুটা রাস্তা অক্সিজেনের সাহায্য নিতেই হয় |