আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ব্যুরো :: বৃহস্পতিবার ১,ফেব্রুয়ারি :: ”আমরা দেশের পূর্বাঞ্চলকে বৃদ্ধির আওতায় আনতে চাইছি। বিশেষ নজর পূর্বাঞ্চলের দিকে।” এই মন্তব্যেই পরিস্কার হয়ে গেল কি চাইছে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারামন কি চাইছেন বা মোদিজীই বা কি চাইছেন । ২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে টার্গেট বিজেপির ‘তিসরি বার মোদি সরকার, আব কি বার ৪০০ পার।’
তাই দেশের পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দিকে লক্ষ্য রাখতে চাইছে পদ্ম শিবির। পাশাপাশি উত্তরপূর্বের সিকিম, অসম, ত্রিপুরা ছাড়াও মণিপুরের দিকে বিশেষ নজর থাকবে। আসলে উত্তর, মধ্য, পশ্চিম ভারতে নিরঙ্কুশ জয় এলেও আসনসংখ্যা বাড়াতে পূর্বাঞ্চলের দিকেই নজর ঘোরাচ্ছে বিজেপি। তেমনই ইঙ্গিত দিলেন নির্মলা ।
ছবি ইন্টারনেটের সৌজন্যে প্রাপ্ত
বৃহস্পতিবার বাজেট পেশ করতে গিয়ে এই কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ । তাঁর মতে, জনসংখ্যা বাড়ায় বদলে যাচ্ছে দেশের জনবিন্যাস। তাই বিকশিত ভারত গড়তে যাবতীয় সুপারিশ করবে এই উচ্চপর্যায়ের কমিটি। বাজেটের এই ঘোষণার পরেই কেন্দ্রকে তোপ দেগে বিরোধীদের দাবি, দেশ থেকে মুসলিমদের মুছে ফেলার জন্যই এই কমিটি গঠন।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের জন্মহার নিয়ন্ত্রণের কথা প্রচার করে এসেছে সংঘ। দেশে জনবিস্ফোরণের জন্য বিশেষভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের দিকেই আঙুল তুলেছে আরএসএস-বিজেপি। আগামী দিনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধিতেও জন্মহার নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এহেন পরিস্থিতিতেই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
রাজ্যসভার সিপিআই সাংসদ জন ব্রিটাস বলেন, “মুসলিম সম্প্রদায়কে শেষ করতেই এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার বিস্তার করলেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। কিন্তু সেটা না করে অন্যদিকে নজর দিচ্ছে সরকার।”
ছবি ইন্টারনেটের সৌজন্যে প্রাপ্ত
লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনের ওপর বিশেষ জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের বিরোধের সূত্রপাত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের সময় থেকে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ অনেকটা দূর গড়িয়েছে। পর্যটন তালিকা থেকে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক উঠেছে দেশ জুড়ে। এর পাশাপাশি দেশীয় পর্যটকরা যাতে মালদ্বীপের বদলে লাক্ষাদ্বীপকে বেছে নেন সেই প্রচারও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই এবার লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরো একটা কথা বলেছেন নির্মলা বলেছেন ‘ধর্মীয় পর্যটনে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রচুর সুযোগ রয়েছে। রাজ্যের ‘আইকনিক’ পর্যটন কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন করা হবে। প্রয়োজনে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। লাক্ষাদ্বীপ সহ আমাদের অন্যান্য দ্বীপগুলিতে বন্দর সংযোগ, পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্প নেওয়া হবে।’
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন জরায়ু-মুখের (সারভাইকাল) ক্যানসার প্রতিরোধে উদ্যোগী হবে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেছেন, ‘‘তার জন্য ৯ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়া হবে।’’ কবে থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে তা অবশ্য নির্মলা বলেননি। তবে তাঁর ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে জরায়ু-মুখের ক্যানসার ভারতের ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ। সেই কারণেই এইচপিভি টিকা কর্মসূচি নিতে চায় কেন্দ্র।
মতের ওপর নির্মলা সিথারামনের এই পাঁচমাসেরভোট অন একাউন্ট বাজেটে কিন্তু আম জনতার জন্য তেমন কোন স্বস্তির দিশা দেখাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী কিন্তু আবার এটাও ঠিক নতুন করে তেমন কোনো করের বোঝাও চড়েনি আম গৃহস্থের মাথায় । মোট কথা এবার মোদী সরকারের পাখির চোখ “মোদী সরকার চারশো পার “