নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাদুড়িয়া :: রবিবার ২৩,মার্চ :: প্রায় এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ নবম শ্রেণীর ছাত্রী, দুশ্চিন্তায় পরিবার সহ গোটা গ্রাম। বসিরহাটের বাদুড়িয়া থানার চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য বেনা গ্রামের বাসিন্দা সাহেব আলী গাজী ও ঝর্ণা বিবির মেয়ে আরিফা খাতুন। সে চাতরা গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী চলতি মাসের ১৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ।
ওই ছাত্রীর বাবা-মা কর্মসূত্রে গুজরাটে থাকায় নিজের মামার বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করতো আরিফা। নিখোঁজ ছাত্রী আরিফার বাবা সাহেব আলী গাজী জানান, ১৭ তারিখ পড়তে যাওয়ার জন্য পাশের পাড়ার থেকে সাইকেল আনার জন্য বাড়ি থেকে বেরোয় ওই ছাত্রী। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়।
নিখোঁজ ছাত্রীর সিসি টিভি ফুটেজ
ওই ছাত্রীর একাধিক বন্ধু-বান্ধবী তথা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে খোঁজখবর নিলে তার কোন খোঁজ না মেলায় অবশেষে বাদুড়িয়া থানার দারস্থ হন তারা। ১৮ তারিখ ঐ ছাত্রীর মামা আব্দুল হাই বাদুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর ডায়েরি থেকে আসামের একটি ছেলের নাম পাওয়া যায়। তার সাথে নাকি একাধিকবার ফোনে ও ভিডিও কলে কথাও হতো ওই ছাত্রীর।
এলাকার সমাজসেবী হারুন মন্ডল বলেন, “খুবই দরিদ্র ঘরের মেয়ে ওই আরিফা খাতুন। কিভাবে সে নিখোঁজ হয়ে গেল তা আমরা বুঝতে পারছি না। প্রশাসনের উপর আস্থা আছে। প্রশাসন নিশ্চয়ই ওই ছাত্রীকে খুঁজে বার করবে।
আমরা পরিবারের কাছে সব রকম ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।” কিন্তু হঠাৎ কি করে ওই নাবালিকা ছাত্রী নিখোঁজ হয়ে গেল? অপহরণ নাকি স্বেচ্ছায় সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে? পাশাপাশি প্রেমের টানে সে আসামে পাড়ি দিয়েছে? নাকি তাকে পাচার করা হয়েছে? পুরোটাই তদন্ত শুরু করেছে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ।