বাবার খুনের শাস্তি চাই, রাজ্যপালের পায়ে হাত রেখে আবেদন নিহতের মেয়ের

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: বাসন্তী :: সোমবার ৩,জুলাই :: অবশেষে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল বাসন্তীতে নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়ল নিহতের মেয়ে নিহত তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লার মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদা। সে জানায় দুদিন চোখের পাতা এখনো এক করতে পারেনি ।

রাজ্যপাল আসছেন শুনেই তিনি মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জানতে পারেন, রাজ্যপাল আসছেন বটে, তবে বাসন্তীর গাগড়ামারি গ্রামে তাঁদের বাড়িতে যাবেন না। তারপরই এক পরিচিতের বাইকে চেপে জিয়ারুলের মেয়ে রওনা দেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে ক্যানিংয়ে এসে পৌঁছন। তখন রাজ্যপাল ক্যানিংয়ের সেচ দফতরের বাংলোয়।

সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন জিয়ারুলের মেয়ে মনোয়ারা পিয়াদা। তিনি রাজ্যপালকে দেখা মাত্রই পা জড়িয়ে ধরেন। পা জড়িয়ে কেঁদে ফেলে জানান বাবার খুনের বিচার চান তিনি।রাজ্যপাল তিন দিন ছিলেন উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অশান্ত ভাঙড়, ক্যানিং পরিদর্শনে আগেই করে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

কিন্তু সম্প্রতি জেলা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাসন্তীর তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায়। খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গের সফর সেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসার কথা জানান রাজ্যপাল। রবিবার কলকাতা ফেরার পর সোমবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আসার সিদ্ধান্ত নেন । তিনি বাসন্তীর চাত্রাখালি গ্রামে জিয়ারুলের মৃত্যুর স্থল পরিদর্শন করেন।

রাজ্যপাল আসছেন শুনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার আর্জি জানিয়েছিলেন নিহত তৃণমূল কর্মীর মেয়ে। কিন্তু রাজ্যপাল জিয়ারুলের বাড়িতে যাননি।নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যরা মুখিয়ে ছিলেন রাজ্যপালের কাছে গোটা বিষয়টি খুলে বলার জন্য। রাজ্যপাল তাতে সম্মতি দেন।

নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিলেন, রাজ্যপাল হয়তো গ্রামে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু রাজ্যপাল গ্রামে আসছেননা শুনেই প্রথমটায় কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন নিহতের মেয়ে। এর পরই পরিচিতের বাইকেই বাড়ি থেকে রওনা দেন তিনি । রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হতেই পা জড়িয়ে ধরেন মনোয়ারা । কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। বাবার ‘খুনে’র যথাযথ তদন্তের দাবি জানান ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 3 =