নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: বৃহস্পতিবার ৪,সেপ্টেম্বর :: চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কেঁপে উঠল ঝাড়গ্রাম। পারিবারিক অশান্তির জেরে এক সাব-ইন্সপেক্টর নিজের সার্ভিস রিভলবার দিয়ে প্রথমে বাবা-মাকে গুলি করে খুন করেন বলে অভিযোগ।
এরপর তিনি নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই পুলিশ অফিসারকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ আই নির্মিত প্রতিকী চিত্র
পুলিশ সূত্রে খবর, জয়দেব চট্টোপাধ্যায়ের (৩২)আদপে আসানসোলের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতেন বাবা ও মা। তাঁর বাবার নাম দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় (৬২) ও মায়ের নাম শম্পা চট্টোপাধ্যায় (৫০)।
ওইদিন রাতে জয়দেবের ভাড়া বাড়ি থেকে গুলির শব্দ পান প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশ এসে শম্পা, দেবব্রত এবং জয়দেবের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে।
তাঁদের ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জয়দেবের বাবা, মাকে মৃত বলে জানান। তাঁর বাবা ও মা ঘটনাস্থলেই মারা যান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
স্থানীয় বাসিন্দারা এমন ঘটনায় হতবাক। এক প্রতিবেশী বলেন, “যিনি মানুষকে রক্ষা করবেন, তিনি নিজেই এভাবে পরিবার ধ্বংস করবেন ভাবতেই পারছি না।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কোনো কারণ—সেই বিষয়েও তদন্ত চালানো হচ্ছে।