নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বারাকপুর :: রবিবার ২৮,মে :: পুলিশ সূত্রে খবর, টার্গেট ছিল একাধিক বড় সোনার দোকান । তারমধ্যে প্রথম ছিল হাওড়ার একটি বড় সোনার দোকান । কিন্তু দুদিন এটেম্পট নেওয়ার পরও ফেল হয়ে যায় । আরও জানা গিয়েছে, গত ২৩ তারিখ তারা হাওড়ায় ওই জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি করতে যায় কিন্তু বৃষ্টির কারণে সেটি ফেল হয় ।
এরপর পরের দিন ২৪ তারিখ সকাল বেলা ফের তারা একবার চেষ্টা করে কিন্তু সেই সময় দোকান বন্ধ থাকা এবং ওই এলাকায় একটি বাজার থাকার কারণে তারা ব্যর্থ হয় এবং ঠিক করে ওই দিনই যেকোনো একটি দোকানে তারা অপারেশন চালাবে । এরপরই ব্যারাকপুর আনন্দপুরী ওল্ড ক্যালকাটা রোডের ছোট পরিসরের দোকানকে বেছে নিয়েছিল দুস্কৃতীরা ।
তাতে বাধা পেয়েই দুস্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। যে গুলিতে মৃত্যু হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিংহের। ঘটনায় পিছনে যে ভিন রাজ্যের দুস্কৃতীদের যোগ রয়েছে তাও পুলিশ নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। কারণ ঘটনায় ইতিমধ্যে যে দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে তাদের একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আরও যে কয়েকজনের নাম পুলিশ ইতিমধ্যে পেয়েছে তারা বিহার এবং উড়িষ্যার বাসিন্দা।
তবে ঘটনায় ধৃত খড়দহের রহড়ার বাসিন্দা এক দুস্কৃতীর সূত্রেই অপরাধীরা ভিন রাজ্য থেকে অপারেশন চালাতে এই রাজ্যে এসেছিল। যাদের মূলত টার্গেট ছিল জুয়েলারি দোকান।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় সোনার দোকানের ডাকাতির চেষ্টায় বাধা পেয়ে খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুস্কৃতীরা একটি ব্যাগ ফেলে গিয়েছিল । যে ব্যাগের মধ্যে কিছু ভেজা জামাকাপড়, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং একটি মোবাইলও ছিল। সেই মোবাইল এবং মোটরবাইকের সূত্র ধরেই দুস্কৃতীদের দুজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে ।
শুধু তাই নয় বাকি দুস্কৃতীদেরও সন্ধান ইতিমধ্যেই পুলিশ পেয়েছে। পুলিশ সূত্রে আরও খবর ঘটনায় ধৃত সফি খানের কামারহাটিতে বাড়ি হলেও বর্তমানে রহড়া পাতুলিয়ায় একটি অভিজাত আবাসন ভাড়া নিয়ে সেখানেই সে থাক ছিল ।