নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বারাসাত :: মঙ্গলবার ৩০,সেপ্টেম্বর :: বারাসাতের সাংসদ ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর মধ্যমগ্রাম দিগবেরিয়া বাড়ির ৩৩৩ বছরের পুজো প্রাচীন রীতি মেনে মহা ধুমধাম করে হচ্ছে।
রাজ্য এবং ভারতীয় রাজনীতিতে অতি পরিচিত মুখ তিনি। চার চার বারের তৃণমূলের সাংসদও বটে।সম্প্রতি দলের পক্ষ থেকে লোকসভার চিফ হুইপ করা হয়েছে কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে। বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানাতে তৃণমূলের সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদারকে দেখেছেন বহু মানুষ।
কিন্তু দুর্গাপুজোর কটা দিন ডাকসাইটে তৃণমূলের এই সাংসদ থাকেন একেবারে ভিন্ন মুডে। ৩৩৩ বছরের প্রাচীন পারিবারিক দুর্গা পুজোর নিয়ম রীতি থেকে অতিথিদের আপ্যায়নে ব্যাস্ত থাকেন বারাসতের আটপৌরে সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। মধ্যমগ্রামের দিগবেড়িয়ায় সাংসদের বাড়িতে দুর্গা পুজো দেখতে ভিড় বাড়াচ্ছেন সর্বস্তরের মানুষ।
কিন্তু পঞ্চমীর দিনেই নিজের ফেসবুক পেজ থেকেই বারাসতের সাংসদ শারদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নিজের উষ্মাও প্রকাশ করেছেন। ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,”অসুর নিধনকারী মা আমার আরাধ্য দেবী। আমার সাথে আছেন।
যারা আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন, মা তাদের ধ্বংস করে দেবেন। আমি জ্ঞানত কোন অন্যায় করিনি। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার সাথে যতদিন আছেন,আমায় কেউ হারাতে পারবে না”।
এই উষ্মা নিজের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে,নাকি বিরোধীদের লক্ষ্য করে তা খোলসা করেননি বারাসতের সাংসদ। তবে কাকলী দেবী বলেন,”এটা দশভূজা দেবীর কাছে প্রার্থনা। দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার আমার ঔদ্ধত্য নেই। বাংলা ভাষা বা বাঙালি অস্মিতার ওপর যারা আঘাত হানার চেষ্টা করছেন, তারা অবাঙালি, বহিরাগত।
ভোটের আগে তাদের দেখা যায়। তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। মায়ের কাছে সকলের সুখ শান্তির জন্য প্রার্থনা জানালাম।