নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: মঙ্গলবার ১৩,জুন :: এতদিন সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শাসক দলের বিধায়ক, নেতাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাই। এবার সেই উমেশ রাই এর বিরুদ্ধেই পাল্টা সোচ্চার হলো শাসক দল।
উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস এবং তৃণমূলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের তরফ থেকে একযোগে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন উত্তর হাওড়ার তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তর হাওড়া তৃণমূল যুব কংগ্রেস, উত্তর হাওড়া তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস এবং উত্তর হাওড়া আইএনটিটিইউসি’র তরফ থেকে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দলের নেতৃবৃন্দ।
উত্তর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ বটব্যাল বলেন, এটা শুরু হয়ে হয়েছে গত বিধানসভা নির্বাচনে উমেশ রাই হেরে যাওয়ার পর। উনি ওনার হার মেনে নিতে পারেননি। বলে এসেছিলেন উনিই উত্তর হাওড়ায় আসনে জিতবেন। কিন্তু উত্তর হাওড়ার মানুষের পালস উনি বুঝতে পারেননি। মানুষ ওনাকে পরিত্যাগ করেছেন।
সেই রাগ থেকে উনি এইসব কাজ করেছেন। আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করব। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কাজ যত বাড়বে এদের পায়ের তলা থেকে মাটি তত সরে যাবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে মানুষকে সাথে নিয়ে উত্তর হাওড়ার মানুষ আবার তৃণমূলকে জয়ী করবে। এরা আসলে ফেসবুকের নেতা। মিডিয়ার নেতা। মানুষের সঙ্গে কোনও যোগ নেই।
সমাজের জন্য কিছু করেননি। ৫ বছর কিছু করেননি। দলের সহকর্মীদের জন্যও কিছু করেননি। উনি উত্তর হাওড়ার রায় মেনে নিতে পারেননি। এদিকে, এর জবাব দিতে গিয়ে উমেশ রাই পাল্টা বলেন, উত্তর হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও যুব সভাপতি পুরো টিম নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে এদিন আমার বিরুদ্ধে প্রেসকে জানিয়েছেন।
প্রেসের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বেআইনি নির্মাণ, শৌচাগার, বেআইনি হোর্ডিং থেকে আমার বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু আমার বক্তব্য, বেআইনি নির্মাণ হলে সেই বিল্ডিং ভেঙে দিক। এইরকমভাবে অভিযোগ হয়না। থানায় অভিযোগ করতে হয়। আপনাদের সরকার বেচারার মতো কথা বলছেন। টিএমসি রাস্তায় নেমে কথা বলছে।
সারা হাওড়া জুড়ে বেআইনি কাজ হচ্ছে। কোনও লজে বেআইনি কার্যকলাপ হলে তারজন্য দায়ী রাজ্য প্রশাসন। উমেশ রাই বেআইনি কাজ করলে তাহলে তা বন্ধ করিয়ে দিক। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে আগে হোমওয়ার্কের প্রয়োজন। হাওড়া স্টেশন জুড়ে হকার রাজ চলছে।
কে টাকা তুলবে সেই নিয়ে মারামারি হয়েছিল। একজন আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। ২০১৩ সাল থেকে হাজার হাজার অবৈধ নির্মাণ হাওড়ায় হয়েছে বলে এদিন উমেশ রাই পাল্টা অভিযোগ তোলেন।