বিআরএস ছাড়লেন কেসিআর-কন্যা – দ্বন্দ পরিবারেই সীমিত

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক :: বুধবার ৩,সেপ্টেম্বর :: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার নিজেই বিআরএসের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন কেসিআর-কন্যা। বুধবার দল ছাড়ার পাশাপাশি তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তারপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কবিতা। বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।”

ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) থেকে মঙ্গলবারই নিজের মেয়ে কে কবিতাকে সাসপেন্ড করেছিলেন দলের সুপ্রিমো তথা তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ।

কবিতার সঙ্গে বিআরএসের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সম্পর্কে কানাঘুষো চলছিল বিগত কয়েক মাস ধরেই। তেলঙ্গানায় দলের শোচনীয় ফলের জন্যও দলের একাংশকেই দায়ী করেছিলেন তিনি। এমনকি সম্প্রতি কেসিআরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য দলের কিছু নেতাকে প্রকাশ্যে দোষারোপ করেন।

কবিতা অভিযোগ করেন যে, তাঁর বাবার উপর ‘দুর্নীতির তকমা’ লাগানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। কবিতার দলবিরোধী মন্তব্যের জন্যই কেসিআরের ঘনিষ্ঠমহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল।

এরপরই কবিতার সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং কার্যকলাপ তুলে ধরে কেসিআর জানান, এসব দলের নীতি ও শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আর সেই কারণেই কবিতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে দল এবং বিধান পরিষদের সদস্যপদ ছাড়ার ঘোষণা করেন কবিতা। তিনি বলেন, “কেসিআর আমার অনুপ্রেরণা। তেলেঙ্গানায় দলিত এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের প্রতি তিনি ন্যায়বিচার করেছেন। কিন্তু দলের অন্দরেই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।

দলীয় কার্যালয় থেকেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, এই সব কিছুর মূলে রয়েছেন তাঁর তুতো দাদা হরিশ রাও। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির সঙ্গে মিলে তিনি চক্রান্তের বীজ বপন করেছেন।

প্রসঙ্গত, ভাই কেটি রামা রাওয়ের (কেটিআর) সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই কবিতাকে দল থেকে বিতাড়িত করা হয়। বছর দুই আগে তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের কাছে পরাস্ত হয় বিআরএস। তারপর থেকেই কার্যত অন্তরালে কেসিআর। এদিকে রাজ্যে ক্ষমতা হারানোর পর ভাঙন শুরু হয় দলেও।

কেসিআরের সক্রিয়তার অভাবে দলের ভার চলে যায় তাঁর ছেলে কেটিআরের হাতে। দলে ভাইয়ের এই উথ্থানে অসন্তুষ্ট কবিতা লাগাতার কেটিআর এবং দলের অন্য নেতাদের টার্গেট করছিলেন।

বুধবার দল ছাড়ার পাশাপাশি তেলঙ্গানা বিধান পরিষদের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তারপরই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কবিতা। বলেন, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − six =