নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী বিধাননগর স্টেশনে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টে থেকে দাঁড়াবে না কোনও ডাউন ট্রেন। অর্থাৎ শিলায়দহগামী ট্রেনগুলি দাঁড়াবে না ওই স্টেশনে। শুক্রবার ভোর ৪টে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। কিন্তু এই সময়ে শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে আসা আপ ট্রেনগুলি দাঁড়াবে বিধাননগরে। দুর্গাপুজোয় অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে রেলসূত্রে খবর। বিধাননগর স্টেশনে নেমে অনেকগুলি পুজো দেখা যায়। তার মধ্যে অন্যতম মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো। যে পুজো নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বুধবার মধ্যরাতে অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য যেখানে ঠাকুর দেখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রেলের অন্দরের খবর, এই সিদ্ধান্তের পিছনে মন্ত্রী সুজিতের পুজোর ভিড়ও অন্যতম কারণ হতে পারে।
বিধাননগর স্টেশনে ডাউন ট্রেন না দাঁড়ানো নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী অবশ্য আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, “প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে কোভিড পরিস্থিতিতে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল চারটে থেকে কাল (শুক্রবার) ভোর ৪টে পর্যন্ত কোনও ডাউন ট্রেন বিধাননগর স্টেশনে দাঁড়াবে না। আপ ট্রেন দাঁড়াবে। আপাতত এক দিনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর মেয়াদ বাড়তে পারে।” বিধাননগর স্টেশনে অস্বাভাবিক ভিড় দুর্গাপুজোর দর্শনার্থীদের কারণেই হচ্ছে বলে মনে করছে রেল। এই ভিড়ের জেরে কোভিড ছড়ানোর পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ছে।
বিধাননগর স্টেশন থেকে একাধিক পুজো প্যান্ডেলে যাওয়া যায়। যার মধ্যে অন্যতম লেকটাউনে সুজিত বসুর পুজো। সেখানে বুর্জ খলিফার আদলে তৈরি মণ্ডপ দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে যা কপালে ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসনের। বিধাননগর স্টেশন হয়েই শহরতলির অধিকাংশ দর্শনার্থী ওই মণ্ডপে আসছেন বলে মত প্রশাসনের একাংশের। সেখানে ভিড় আটকাতে রেলের এই সিদ্ধান্ত কাজে আসতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।