সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গোসাবা :: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ গোসাবা ব্লকের বালি-২ নম্বর অঞ্চলের প্রত্যন্ত বিরাজনগর গ্রামে প্রাচীন ঘরানায় মাটির ঘরে শুরু হল পাঠশালা । একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে শুরু হল এই পাঠশালা । নাম দেওয়া হয়েছে প্রত্যাশা পাঠশালা । পাঠশালাটি মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনিতে তৈরি করা হয়েছে ।বর্তমানে যখন ডিজিটাল ভারত,ডিজিটাল বাংলায় পাকা স্কুলে এবং অনলাইনে পঠন পাঠনে সবাই বাস্ত আর ঠিক সেই সময় প্রচীন প্রথার ছোঁয়া পড়লো নোনা জল আর সোঁদা মাটির প্রত্যন্ত এই দ্বীপে। বর্তমানে ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী নিয়ে শুরু হল পথচলা ।প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রী তফশিলি সম্প্রদায়ের ভুক্ত । এই পাঠশালা চালু হওয়ায় খুশির হাওয়া এলাকার মানুষজনের মধ্যে ।স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা মন্ডল এগিয়ে আসেন পাঠশালার জন্য । তিনিই জায়গা দেন পাঠশালা নির্মাণের জন্য । তিনি জানান এলাকার পিছিয়ে পড়া তফশিলি সম্প্রদায়ের শিশুরা শিক্ষার আলোতে আলোকিত হয়ে উঠুক । তাতে উজ্জ্বল হবে এই পিছিয়ে পড়া প্রত্যন্ত গ্রাম ।
আর তার এই অবদানে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকার সকল মানুষজন । ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের হাতে পঠন পাঠনের সব ধরনের সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয় । কোভিড বিধির নিয়ম কানুন মেনেই শুভ সূচনা হয় প্রত্যাশা পাঠশালার ।