বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য একসাথে ক্রিকেট খেললেন ও খাওয়া-দাওয়া করলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হরিরামপুর :: শুক্রবার ২১,মার্চ :: বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য একসাথে ক্রিকেট খেললেন ও খাওয়া-দাওয়া করলেন। হরিরামপুর ইয়ংস্টার ক্লাবের দুদিনব্যাপী ক্রিকেট টুর্নামেন্টে তারা আমন্ত্রিত ছিলেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন বা কার নাম শোনা যাচ্ছে এটি কোনো বিষয় নয়। পার্টি যা ঠিক করবে তিনি আমাদের নেতা হবেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার অন্তর্গত হরিরামপুর ইয়ংস্টার ক্লাবের দুই দিনব্যাপী ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করেন।

দিলীপ ঘোষ, সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য উদ্বোধনে ব্যাট ধরেন। একটি ফুলটস বলকে ছক্কা হাঁকান দিলীপ ঘোষ।সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবাংলা কে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে।

সংবিধান সবাইকে ধর্মাচরণ করার অধিকার দিয়েছে কিন্তু সরকার এখানে চায় না হিন্দুরা একত্রিত হোক, তারা ধর্মাচরণ করুক। রামনবমীতে বড় করে প্রতিবাদ হবে।

দিলীপ বাবু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বলেন, রাজ্য সরকারের করার ইচ্ছা নেই, কারণ ১৪ বছর হয়ে গেল কেন এতদিন করেনি সেই প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন কিছু টাকা দিয়েছে সেগুলো খাওয়া হয়ে যাবে। এক কোদাল মাটি পড়বে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এসেছিলেন এই অনুষ্ঠানে। দিলীপ বাবু বলেন,উনি পুরনো বন্ধু। গল্প হলো, একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম। তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, দুজনে যেহেতু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তাই সমকালীন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। সম্প্রতি বিধানসভায় যে বাজেট অধিবেশন হলো তা হাস্যকর বলে তিনি মন্তব্য করেন।

পাট্টা দান,বিভিন্ন বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমাদের রাজ্যে সেই বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। কে কত বড় হিন্দু, কে কত বড় মুসলমান তা বিচার করার জায়গা বিধানসভা কিংবা লোকসভা নয়।

হরিরামপুর ইয়ং স্টার ক্লাবের সহসভাপতি রতন মান্না বলেন, এই অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন দীর্ঘ ২০ বছর ধরে হচ্ছে এবং আমরা একসাথে খেলাধুলা করতে চাই। এর মধ্যে রাজনৈতিক বিষয় নেই, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতৃত্বকে ডেকেছিলাম কিন্তু কেউ আসেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =