নিজস্ব সংবাদদাতা :: মুর্শিদাবাদ :: কান্দি :: সংবাদ প্রবাহ :: বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ৭০ থেকে ৭২ জন কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা শুন্য। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন! কথাটি শুনে আপনার মনে একখানি বড় জিজ্ঞাসার চিহ্ন জাগতেই পারে, কিন্তু হ্যাঁ! মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত ঝিল্লি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রত্যন্ত গ্রামের মাঝে খাসপুর জুনিয়র গার্লস হাই স্কুল, এখানে ছাত্রীর সংখ্যা ৭০ থেকে ৭২ জন কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বর্তমানে শূন্য। বর্তমানে একজন গ্রুপ ডি কর্মী আছেন তবে তিনি মাঝেমধ্যে বিদ্যালয় এসে তিনি নাকি ইতিহাসের ক্লাস নেন। খাসপুর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম যেখানে অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের বসবাস সেখানে অভিভাবকরা বাধ্য হয়ে তাদের মেয়েদের এই স্কুলে পড়ান কারণ তাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই বেসরকারি বিদ্যালয় পড়ানোর মতো,তাই তাদের মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার একমাত্র ভরসা এই বিদ্যালয়।ছাত্রীরা বিদ্যালয় এসে তাদের নিজেদের মতো করে একসঙ্গে বসে পড়াশোনা করে তারপর তারা মিড ডে মিল খেয়ে একটু খেলাধুলা করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এমনকি মিড ডে মিলের খাবারটাও তাদের নিয়মিত ঠিকমত নাকি দেওয়া হয় না।স্কুলের অভিভাবকরা দাবি করছেন এই বিদ্যালয়ে যেন অবিলম্বে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়। এখন মূল কথা হচ্ছে নারী শিক্ষা নিয়ে সরকার প্রতিনিয়ত আগ্রহী, বাল্যবিবাহ রোধ করে নারী শিক্ষার উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে সেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের এই গার্লস জুনিয়র হাই স্কুলের এমন অবস্থা সত্যিই শিক্ষা ব্যবস্থাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।